“আমরা কোরিয়ান ছবি দেখি আর ১০০ কোটি এবং ৫০০ কোটি নিয়ে চিন্তা করি”, ভারতীয় ছবির বাজার নিয়ে আশাহত পরিচালক অনুরাগ বসু। কেন নিজের দেশের ছবির দর্শক সংখ্যা এত কম? প্রশ্ন পরিচালকের। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বিশ্ব বাজারে ভারতীয় ছবির অবস্থান নিয়ে বলতে গিয়ে অনুরাগ বলেন, “ভারতীয় ছবি শুধু আমরাই দেখি। কিন্তু অন্য দেশের ছবির দর্শক বিশ্ব জুড়েই।”
তিনি বলেন, “বিশ্ব সিনেমা কিন্তু ভারতীয় সিনেমাকেও নজরে রাখে। কিন্তু আমাদের এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি। সারা বিশ্বে আমাদের মূল ধারার ছবির দর্শক মূলত ভারতীয়। বিশ্বব্যপী দর্শক পাওয়ার জন্য আমরা অনেকটাই পিছিয়ে।” কথা প্রসঙ্গেই অনুরাগ ভারতীয় ছবির সঙ্গে তুলনা টানেন কোরিয়ান ছবির। দুই ইন্ডাস্ট্রির পথচলা প্রায় একই সময়ে হলেও বিশ্বব্যপী দর্শকের বিচারে ভারতীয় ছবির তুলনায় কোরিয়ান ছবি অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, “ভারতীয় ছবির দর্শকসংখ্যা খুবই কম। কোরিয়ান ছবির বয়সও কিন্তু ভারতীয় ছবির মতোই। কিন্তু ওদের ছবির দর্শকসংখ্যা বেশি। আমরা শুধু শুক্র, শনি ও রবিবারের কথা চিন্তা করি। চিন্তা করি ১০০ কোটি এবং ৫০০ কোটির।”
প্রসঙ্গত, কিছু মাস আগেই ঠিক এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। ভারতীয় সিনেমা, ধারাবাহিকের সঙ্গে তুলনা টেনেছিলেন পাকিস্তানি, কোরিয়ান ড্রামার। ‘কভি ম্যায় কভি তুম’ নামক পাকিস্তানি ড্রামার শেষ পর্ব দর্শকদের দাবিতে বড় পর্দায় মুক্তি প্রসঙ্গে ভারতীয় ধারাবাহিক নিয়ে লিখেছিলেন, ‘এখানে শুধুমাত্র নায়িকাই রান্না করবে, বাসন মাজবে, মন্দিরে প্রদীপ জ্বালাবে….. আবার বরকে বাবু আর আপনি বলে সম্মোধন করবে। এবং এখানেই শেষ নয়- শাশুড়ি মায়ের অত্যাচার মুখ বুজে সইবে… আর কবে আমাদের চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বুঝবেন, যে দর্শক টিভি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন? বাধ্য হচ্ছেন- বাংলাদেশি নাটক, পাকিস্তানি সিরিয়াল, আর কোরিয়ান ড্রামা দেখতে। এটা কতদিন অস্বীকার করবেন? সেই এক গল্প, এক পোশাক, এক সেট। এবার জাগুন! আর কতদিন শাঁখা-সিঁদুরের দিব্যি দিয়ে এক গল্প নতুন মোড়কে চালাবেন?’