অফবিট

মেকআপ ব্রাশ প্রোপারলি ক্লিন না করলে কী কী সমস্যা হতে পারে?

মেকআপ ব্রাশ ক্লিন না করলে কী হবে?

 

১) ব্রণ বা ব্রেকআউটস দেখা দেয়

 

ব্রাশ ক্লিন না করতে করতে ব্রিসেলগুলোতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। যতই আপনি রাতে মেকআপ রিমুভ করেন আর ফেইস ক্লিন রাখেন, সেই তো পরের দিন নোংরা ব্রাশ বা স্পঞ্জই স্কিনের সংস্পর্শে আনবেন। আর ব্রাশে থাকা ব্যাকটেরিয়া আপনার স্কিনে ব্রেকআউটস বা ব্রণ সৃষ্টি করবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

২) স্কিন ইরিটেশন হয়

 

মাস খানেক হলো মেকআপ ব্রাশ ক্লিনই করছেন না। এর ফলে কী হচ্ছে জানেন? ব্রাশের ব্রিসেলসগুলো ডার্টি আর অয়েলি হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে সেটা দিয়ে যখন মেকআপ অ্যাপ্লাই করেন, আর তা স্কিন ইরিটেশন এবং রেডনেস এর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর কারণে আপনার স্কিন সেনসিটিভও হয়ে যেতে পারে।

 

 

 

 

৩) স্কিনের ন্যাচারাল গ্লো হারিয়ে যায়

 

যখন আমরা মেকআপ করি, আমাদের স্কিনের থেকে সেবাম মেকআপ ব্রাশে ট্রান্সফার হয়। সেটা ব্রাশেই থেকে যায়। পরে যখন সেই ব্রাশ দিয়েই মেকআপ অ্যাপ্লাই করা হয়, তখন স্কিনে থাকা সেবাম এবং ব্রাশের ময়লা ও সেবাম একসাথে মিলে যায়! ফলাফল বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই। স্কিনের ন্যাচারাল গ্লো হারিয়ে যায় এবং স্কিন দেখতে নিষ্প্রাণ লাগে। যারা স্কিন কেয়ার রুটিন মেনটেইন করেও হেলদি স্কিন পাচ্ছেন না, তারা একবার মেকআপ ব্রাশের দিকে নজর দিন!

 

 

 

 

৪) জীবাণুর সংক্রমণ হয়

 

মেকআপ ব্রাশ না ক্লিন করলে সেই নোংরা ব্রাশই আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। মেকআপ ব্রাশ আবার অসুস্থ বানাবে? একদমই মজা করছি না। ডেন্টিস্টরা আপনাকে কয়েক মাস পর পর টুথ ব্রাশ চেঞ্জ করতে কেন বলেন? কারণ, এক টুথ ব্রাশ বার বার ইউজ করার ফলে ব্যাকটেরিয়া থেকে ইনফেকশন যেন না ছড়ায়। মেকআপ ব্রাশও ঠিক তাই। এটাকে ক্লিন না রাখলে স্কিনে ব্যাকটেরিয়া তো প্রবেশ করবেই, ভাইরাসও ছড়াতে পারে। আপনি কি জানেন? বিভিন্ন ফ্লু, কোল্ড ভাইরাস নোংরা ব্রাশ থেকেও ছড়াতে পারে। তাই বুঝতেই পারছেন, আপনার সুস্থ থাকার জন্যে হলেও এগুলো ক্লিন করা কতটা ইম্পরট্যান্ট।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

৫) আনইভেন অ্যাপ্লিকেশন

 

শুধুমাত্র স্কিনে সমস্যাই নয়, মেকআপ ব্রাশ ঠিকমতো ক্লিন না করার ফলে এর ব্রিসেলগুলোতে পুরোনো মেকআপ প্রোডাক্ট জমে থাকে। যার ফলে আপনি যখন নতুন করে মেকআপ অ্যাপ্লাই করতে যান, তখন সেই অ্যাপ্লিকেশনটা ফ্ললেস হয় না। তাই, সুন্দর ও ফ্ললেস ফিনিশ পেতে মেকআপের ব্রাশগুলো ক্লিন করা কিন্তু মাস্ট।

 

 

 

 

৬) ব্রাশ ড্যামেজ হয়ে যায়

 

একবার ভাবুন, কতগুলো টাকা খরচ করে এক একটা মেকআপ ব্রাশ কিনেছেন। এখন খুব দ্রুতই যদি ব্রাশগুলো নষ্ট হয়ে যায় তবে টাকাগুলোইতো জলে গেলো, তাই না? রেগুলার ক্লিন না করলে অয়েল, ডার্ট, ব্যাকটেরিয়া জমে ব্রাশের ব্রিসেলস আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। শুধুমাত্র প্রোপার ক্লিনিংই পারে ব্রাশের ব্রিসেলস শাইনি ও পারফেক্ট রাখতে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.