টিনেজারদের ত্বকের যত্ন করার পদ্ধতি
১.ত্বকের ধরন বোঝা
প্রথমেই যে বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিতে হবে, তা হচ্ছে নিজের স্কিনটিকে বোঝা। আপনার স্কিনের টাইপ কী? নরমাল, ড্রাই, অয়েলি, নাকি কম্বিনেশন? এটা জানতে পারেন সহজ উপায়েই। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মুখের স্কিনে হাত বুলিয়ে দেখুন। যদি আপনার স্কিন সফট ফিল হয়, ব্লেমিশ বা প্যাচ না থাকে এবং স্কিনে অয়েল ব্যালেন্সড থাকে, তবে আপনার নরমাল স্কিন। নরমাল স্কিনের অধিকারীরা নন-অ্যালকোহল মাইল্ড ক্লেনজার ব্যবহার করবেন।
আর যদি ত্বকে স্মুদ ফিল না হয়, ড্রাই প্যাচ, ডাল ফিল হয়। তবে আপনার স্কিন টাইপ ড্রাই। স্কিন ড্রাই হলেও মাইল্ড ক্লেনজার ব্যবহার করবেন। স্কিনে অতিরিক্ত স্ক্রাবিং করবেন না এবং গরম পানিতে গোসল কম করবেন।
টিনেজারদের ত্বকের ধরন বোঝা –
যদি স্কিনটি তৈলাক্ত ফিল হয়, পিম্পল, ব্রেক আউটস, পোরস ইত্যাদি থাকে, তবে আপনার স্কিন টাইপ অয়েলি। অয়েলি স্কিন হলে, দিনে ২ বার মুখটা ফেইসওয়াস দিয়ে পরিষ্কার করবেন।
আপনার স্কিনের টি-জোনে যদি অয়েলি ফিল হয় এবং ফেইসের অন্য অংশগুলো ড্রাই ফিল হয়, তবে আপনার কম্বিনেশন স্কিন।
২. ক্লেনজিং
ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক ক্লিন করা খুবই জরুরী। নয়তো, ত্বকে জমে থাকা অয়েল, ঘাম, ময়লা কিন্তু স্কিনের ক্ষতিই করবে। সবসময় ভালো মানের ক্লেনজার ব্যবহার করবেন এবং ফেইস জোরে জোরে ঘষা থেকে বিরত থাকবেন।
৩. ময়েশ্চারাইজ
সব ধরনের ত্বকেই ময়েশ্চারাইজার কিন্তু মাস্ট। হোক সেটা অয়েলি কিংবা ড্রাই স্কিন। সব সময় স্কিন টাইপ এবং প্রবলেমকে মাথায় রেখে লাইট ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন এবং যেন তা আপনার ত্বকে স্যুট করে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৪. এক্সফোলিয়েট
টিনেজারদের ত্বক ব্লক হয়ে যাওয়া থেকে রোধ করতে এক্সফোলিয়েটিং করা খুবই ইম্পরট্যান্ট। এজন্য সপ্তাহে ২/১ বার ত্বকে স্ক্রাব ব্যবহার করবেন। তবে, দোকান থেকে কেনা স্ক্রাবার ব্যবহার না করে, হোমমেইড স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, চালের গুড়ো বা ওটস এর গুড়ো এবং মধু মিলিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে সবসময় খুব হালকা করে আলতো হাতে স্ক্রাব করবেন।
৫. সানব্লক
হেলদি এবং ট্যান ফ্রি স্কিন পেতে প্রতিদিন সানব্লক বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে। বাইরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে সানব্লক ব্যবহার করবেন। সানব্লকটিতে যেন কমপক্ষে এস পি এফ ৩০ থাকে।
সানব্লক ব্যবহারের পর দিনশেষে অবশ্যই মুখ ক্লিন করার জন্য ডাবল ক্লেনজিং করতে হবে।