কোরিয়ান স্কিন কেয়ার স্টেপস ৭টি
কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিনকে যদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিয়ে আসা যায়, তাহলে কেমন হয় বলুন তো? এটা ঠিক যে, আবহাওয়ার ধরন আলাদা হওয়ায় তাদের বিউটি রুটিনের সব স্টেপস আমরা পুরোপুরি মেইনটেন করতে পারবো না। খুব সিম্পলভাবে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করে কিভাবে বাড়িতে বসে আপনি ত্বকের যত্ন নেবেন এবার তাই জানবো।
১) ক্লেনজিং
কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিনে প্রথম ধাপ হচ্ছে অয়েল এবং ফোম ক্লেনজারের মাধ্যমে স্কিনকে প্রোপারলি ক্লিন করা। ডাবল ক্লেনজিং-এ অয়েল বেইজড ক্লেনজার ত্বকের সিবাম আর পল্যুটেন্ট ক্লিন করে আর ফোম ক্লেনজার ডার্ট রিমুভ করে স্কিনকে পরিষ্কার রাখে। বিভিন্ন কোরিয়ান ব্র্যান্ডের স্কিন কেয়ার রেঞ্জে আপনি তাদের ফোম ও অয়েল বেইজড ক্লেনজার পাবেন। সময় নিয়ে আলতো হাতে নিচে থেকে উপরে ম্যাসাজ করুন। এরপর একটা পাতলা কাপড় উষ্ণ গরম পানিতে ডুবিয়ে সেটি দিয়ে মুখটা মুছে নিন।
২) এক্সফোলিয়েট
কোরিয়ান স্কিন কেয়ারের ২য় ধাপ এক্সফোলিয়েট
কোরিয়ান স্কিন কেয়ারে এক্সফোলিয়েট হিসাবে ব্ল্যাক সুগার ব্যবহারের কথা অনেকেই জানেন। এক্সফোলিয়েট ব্ল্যাকহেডস রিমুভ করে, স্কিনকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে চকচকে ভাব আনে। ফেসিয়াল ম্যাসাজে হাতের মুভমেন্টও গুরুত্বপূর্ণ। বেশী ঘষাঘষি করা যাবে না। সারকুলার ওয়েতে আঙ্গুল দিয়ে অ্যাপ্লাই করুন, ব্ল্যাক সুগার যখন মেল্ট হয়ে যাবে, পর্যাপ্ত পানি দিয়ে মুখে ঝাপটা দিন এবং ধুয়ে ফেলুন।
৩) টোনিং
স্কিন কেয়ারের যেই পার্টটা আমরা অনেকেই স্কিপ করি সেটা হচ্ছে টোনিং। কোরিয়ানরা তাদের টোনারে বিভিন্ন উপাদান মিলিয়ে দেয় যেটা ত্বকের স্পেসিফিক প্রবলেমকে ডিল করে। উপাদানটি হতে পারে বোটানিক ইনগ্রিডিয়েন্স, হায়ালুরনিক এসিড, মিল্ক কিংবা টি-ট্রি এলিমেন্ট। টোনার আপনার ত্বকের পি এইচ ব্যালেন্স ধরে রাখ, রাফনেস রিপেয়ার করে আর স্কিনকে টাইট রাখে। তাই, হেলদি আর রেডিয়েন্ট স্কিন পেতে টোনিং করা অবশ্যই দরকার। কটোন প্যাড দিয়ে টোনার ভালোভাবে মুখে অ্যাপ্লাই করে নেবেন। এইতো হয়ে গেল টোনিং পার্ট!
৪) অ্যাসেন্স অ্যাপ্লাই
“অ্যাসেন্স! সেটা আবার কী???” জানি, এটাই চিন্তা করছেন অনেকে। কোরিয়ান স্কিন কেয়ারের একটি ধাপ হচ্ছে অ্যাসেন্স অ্যাপ্লাই করা। এটা আপনার কাছে নতুন লাগতে পারে, কিন্তু অ্যাসেন্স অ্যাপ্লাই কোরিয়ান স্কিন কেয়ারের বেসিক একটা পার্ট। ডিউয়ি আর সফট স্কিনের জন্য বিভিন্ন কোরিয়ান ব্র্যান্ডের স্কিন কেয়ার রেঞ্জ থেকে আপনাকে এই প্রোডাক্টটি বেছে নিতে হবে। কিন্তু কী আছে এই অ্যাসেন্সে? সাধারণত অ্যাসেন্স তৈরি হয় বিভিন্ন হারবাল/প্লান্ট এক্সট্র্যাক্ট আর ফারমেন্টেড কম্পোনেন্ট দিয়ে যেটা ত্বককে ভেতর থেকে রিপেয়ার করে আর হেলদি গ্লো দেয়। দুই-তিন ফোটা অ্যাসেন্স নিয়ে আপনার ফেইসে অ্যাপ্লাই করুন আর হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। ব্যস! হয়ে গেল আপনার অ্যাসেন্স অ্যাপ্লাই করা!
৫) শীট মাস্ক অ্যাপ্লাই
কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিনে শীট মাস্ক অ্যাসেনশিয়াল একটা পার্ট। বেরি, মধু, অ্যালোভেরা, টমেটো, গ্রিন টি আরও কত উপাদান তারা যোগ করেছে শীট মাস্কের কালেকশনে! এক কথায় বলতে গেলে শিট মাস্ক হচ্ছে প্যাকেটজাত ফেসিয়াল মাস্ক। আগে থেকে এটা প্রিপেয়ার করা থাকে মানে একটি প্যাকেটে অ্যাসেন্স অথবা সিরামে ভেজানো একটি মাস্ক থাকে। মাস্কটি মুখে লাগিয়ে রেখে ১৫-২০ মিনিট পরে সিরাম স্কিনে শুষে নিলে মাস্কটি তুলে ফেলে দিতে হয়। কিন্তু এরপর মুখ ধোয়ার প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন শীট মাস্কের প্রোপার্টিজ আলাদা, তাদের ভেরিয়েন্ট শীট মাস্কের কালেকশন থেকে আপনার স্কিন অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন। আপনি যদি হন কর্মজীবী নারী অথবা ইউনিভার্সিটি/কলেজ পড়ুয়া, তাহলে তো এটা আপনার বিজি লাইফের ইজি সল্যুশন হয়ে যাবে!