অফবিট

বয়সভেদে স্কিন কেয়ার | জেনে নিন ৫ ধরনের এজ গ্রুপের ত্বকের যত্ন

প্রথমেই যে বিষয়টার উপরে গুরুত্ব দিতে হবে, তা হচ্ছে বয়সভেদে স্কিন কেয়ার করার জন্য স্কিনের টাইপটাকে বোঝা। এতে করে, আপনি স্কিন কেয়ারের জন্য কী ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন, তা বুঝতে পারবেন এবং প্রোডাক্টগুলো আপনার স্কিনের জন্য সঠিক হবে। আপনার স্কিনের টাইপ কী? নরমাল, ড্রাই, অয়েলি নাকি কম্বিনেশন? এটা জানতে, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে একটা টেস্ট করতে পারেন। ঘুম থেকে উঠে মুখের স্কিনে হাত বুলিয়ে দেখুন। যদি, আপনার স্কিন সফট ফিল হয়, তেমন ব্লেমিশ বা প্যাচ না থাকে এবং স্কিনে অয়েল ব্যালেন্সড থাকে, তবে আপনার নরমাল স্কিন। আর যদি স্কিনটা স্মুদ ফিল না হয়, ড্রাই প্যাচ, ডাল ফিল হয়। তবে আপনার স্কিন টাইপ ড্রাই। আর যদি স্কিন তৈলাক্ত ফিল হয়, পিম্পল, ব্রেক আউটস, পোরস ইত্যাদি থাকে, তবে আপনার স্কিন টাইপ অয়েলি। আপনার স্কিনের টি-জোন যদি তৈলাক্ত হয় এবং ফেইসের অন্য অংশগুলো শুষ্ক হয়, তবে আপনার কম্বিনেশন স্কিন।

 

টিনেজারদের স্কিন কেয়ার

 

 

১. ক্লেনজিং

টিন এজারদের হরমোনাল অনেক চেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এই সময়ে মুখে অতিরিক্ত তেল তৈরি করে। যার ফলে স্কিনের পোর বড় হয়ে যেতে পারে। তাই এই সময়ে স্কিন ক্লিন রাখার দিকে নজর দিতে হবে খুব বেশী। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ক্লেনজার, ক্রিম এবং অয়েল ফ্রি ময়শ্চারাইজ ভালো বন্ধু হতে পারে টিন এজারদের।

 

২. এক্সফোলিয়েট

স্কিনের ডেড সেলস দূর করতে এবং পোর ক্লগিং বন্ধ করতে এক্সফোলিয়েট করা খুবই জরুরি। সপ্তাহে ২ দিন এক্সফোলিয়েট করবেন। তবে, ন্যাচারাল ইনগ্রিডিয়েন্টস যেমন – চালের গুড়া, ওটসের গুড়া, বাদামের গুড়া ইত্যাদির সাহায্যে এক্সফোলিয়েট করা ভালো হবে টিন এজারদের স্কিনের জন্য।

 

৩. প্রোটেকশন

টিন স্কিনে পিম্পল কিন্তু কমন ব্যাপার। কিন্তু, আপনি জানেন কি, একটা পিম্পল যখন হিল হয় এবং সেটা সূর্যের রশ্মির নিকটে আসে, তখন সেটা হাইপার পিগমেন্টেশনে রূপ নেয়। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে অন্তত এস পি এফ ৩০+ যুক্ত সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত।

 

৪. যা এরিয়ে চলবেন

কিশোরীদের ত্বকে যে সকল ইনগ্রিডিয়েন্টসগুলো ব্যবহারের চেষ্টা করবেন, তা হলো- ক্লে বেইজড প্রোডাক্ট, স্যালিসাইলিক এসিড, টি ট্রি অয়েল ইত্যাদি। রিচ ফুড, গরুর দুধ, হেভি ডেইরি ফুড ইত্যাদি। কারণ, এগুলো হরমোনার ব্রেক আউট ঘটায়।

 

২০+ বয়সের স্কিন কেয়ার

 

 

১. রেগ্যুলার স্কিন কেয়ার রুটিন

২০+ স্কিনে রেগ্যুলার স্কিন কেয়ার রুটিন যেমন – ক্লেনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং তো ফলো করবেনই। এর সাথে সাথে, ডাবল ক্লেনজিং, স্কিন হাইড্রেটিং এবং সান প্রোটেক্টিংও কিন্তু জরুরি!

 

২. অ্যান্টি এজিং কেয়ার

২০+ বয়সে স্কিন ম্যাচিউর হয় না। তবে, যখন আপনি ২৫ বছরের বেশি হবেন, তখন থেকে টুকটাক অ্যান্টি এজিং প্রোডাক্ট ব্যবহার শুরু করতে পারেন। এতে করে, আগে থেকেই স্কিন প্রিপেয়ার হয়ে থাকলো এবং হুট করে স্কিন ম্যাচিউর হয়ে যাওয়া বা রিংকেল পড়ে যাওয়াটা দেখতে হবে না আপনাকে।

 

৩. স্কিন ট্রিটমেন্ট

টিন স্কিনে ওইভাবে স্কিন ট্রিটমেন্টের দরকার পড়ে না বা না করাই ভালো। তবে আপনি এখন ২০ বছরের বেশি, তাই আপনার স্কিনের যত্নে বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট যেমন- মাইক্রোডারমাব্রেশন (Microdermabrasion) করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়ালতো রয়েছেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.