অফবিট

চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল দূর করুন ৪টি সহজ উপায়ে!

চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল দূর করার ৪টি সহজ উপায়

১) সঠিক আন্ডার আই ক্রিম বেছে নিন

আমাদের চোখের নিচে কালো দাগ পড়ার অন্যতম কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন গ্রহণ না করা। ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচে কালো দাগ থেকে শুরু করে বয়সের ছাপ, এমন কি চোখে ফোলা ফোলা ভাবও দেখা দিতে পারে। শরীরের অন্যান্য জায়গার তুলনায় চোখের জায়গাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই চোখের এই এরিয়াতে যে কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে আমাদের সতর্ক থাকতে হয়। রেগুলার ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার এই অংশে ব্যবহার করলে সমস্যা দূর হবে না। মার্কেটে বিশেষ ধরণের ক্রিম পাওয়া যায় যা আই ক্রিম হিসেবে পরিচিত। চোখের নিচের সংবেদনশীল ত্বকের যত্নে বিশেষভাবে কাজ করে এই ক্রিমগুলো। এতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, আয়রন ও খনিজ পদার্থ, যা ডার্ক সার্কেল দূর করতে দারুণভাবে কাজ করে।

 

আন্ডার আই ক্রিম

 

২) ব্যবহার করুন ভিটামিন-ই যুক্ত তেল

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে বহুকাল ধরে তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। আপনার স্কিন যদি ড্রাই হয়ে থাকে, এজিং সাইন আসতে শুরু করে, তাহলে যেসব তেলে ভিটামিন-ই রয়েছে ঐ প্রোডাক্টগুলো বাছাই করতে চেষ্টা করুন। তেল দিয়ে আই এরিয়াতে ম্যাসাজ করার ফলে ত্বকের নিচে ব্লাড সার্কুলেশন যেমন ইম্প্রুভ হয়, পাশাপাশি ত্বকের মসৃণতাও বেড়ে যায়। চেষ্টা করুন মার্কেট থেকে ভালো মানের নারিকেল তেল, আমন্ড অয়েল বা ক্যাস্টর অয়েল কিনে নিতে। সাধারণত এ সকল তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে ভালো কাজ করে।

৩) তৈলাক্ত ত্বকের বন্ধু আন্ডার আই জেল

যাদের স্কিন টাইপ অয়েলি, সহজে তারা যেকোনো প্রোডাক্টস ব্যবহার করতে চান না। স্কিন অয়েলি হয়ে যায়, ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়, ফেইস স্টিকি লাগছে এমন নানা কমপ্লেইন করে থাকেন। এমন স্কিন টাইপ যাদের, তারা আই জেল ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে। চেষ্টা করবেন ভালো ব্র্যান্ডের আই ক্রিম বা জেল কিনতে। দাম একটু বেশি হলেও স্কিনের সাথে কোয়ালিটি নিয়ে কোন কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। ডার্ক সার্কেল দূর করার পাশাপাশি এটি চোখের নিচের ফোলা ভাব কমাতেও সাহায্য করে।

 

চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল

 

৪) ব্যস্ততায় সহজ সমাধান আন্ডার আই প্যাচ

“আই প্যাচ” এই দুটি শব্দের সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। আবার অনেকেই শুনছেন প্রথমবারের মত। যারা একবার এই প্রোডাক্টটি ব্যবহার করেছেন, আশা রাখি তারা জেনে গিয়েছেন এর গুনাগুণ সম্পর্কে। মার্কেট থেকে কোন প্রোডাক্টটি কিনে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবো, তা জানি না বলেই অনেকেই বেছে নেই ঘরোয়া পদ্ধতি। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে এত সময় করে ওঠা কঠিনই বটে। চিন্তার কোন কারণ নেই! আপনার ব্যস্ত জীবনের ভরসা হতে পারে আন্ডার আই প্যাচ। এক্ষেত্রেও অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের আই প্যাচ বাছাই করতে চেষ্টা করবেন।

 

প্রোডাক্টস কেনার সাথে সাথেই সমস্যার সমাধান চাওয়াটা আমাদের কমন একটি ভুল। মনে রাখতে হবে, শুধু মাত্র দামী প্রোডাক্টস ব্যবহার করলেই হবে না, পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের ডেইলি রুটিনেও। অযথা দুশ্চিন্তা না করা, সময়মত ঘুমিয়ে পড়া, খাবারের অভ্যাসে ব্যালেন্স রাখা এগুলো ঠিকমতো মেনটেইন করাও অত্যন্ত জরুরী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.