ইন্সট্যান্ট উজ্জ্বল ত্বক পেতে ৫টি ধাপে ঝটপট স্কিনকেয়ার
চলুন জেনে নেয়া যাক ৬ টি ধাপ সম্পর্কে!
১) অয়েল ক্লেনজিং
আমরা রোজ বাইরে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন, মেকআপ প্রোডাক্টস ব্যবহার করি। এছাড়া বাইরের ধুলো বালির সাথে ত্বক থেকে বের হওয়া সিবামে স্কিনটা অনেক বেশি ময়লা হয়ে যায়, যা শুধু ফেইসওয়াশ ভালোভাবে ক্লিন করতে পারে না। তাই আমাদের স্কিনের জন্য অয়েল ক্লেনজিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ। স্কিন টাইপ অনুযায়ী যেকোনো ভালো একটা ব্র্যান্ডের অয়েল ক্লিনজার আমাদের বেছে নিতে হবে। প্রথমে হাতটা ক্লিন করে শুকনো করে নিন, এবার পরিমানমতো ক্লিনজার নিয়ে পুরো মুখে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এতে করে আমাদের স্কিনের ভেতর থেকে অয়েল বেইজড সব ইমপিউরিটিস, ময়লা বের হয়ে আসবে এবং পোরস ক্লগড হওয়ার চান্স থাকবে না।
২) জেল বা ফোম ক্লেনজিং
ফোম ক্লিনজার মূলত ওয়াটার বেজড হয়ে থাকে যেটা ত্বকের সকল ধুলো ময়লা নিমিষেই দূর করে দেয়। এছাড়া ত্বকের অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরন কমিয়ে ত্বককে করে তোলে ঝকঝকে। তাই যাদের ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত, তাদের জন্য ফোম ক্লিনজার অত্যন্ত উপকারী। অয়েল ক্লেনজিং এর পর জেল বা ফোম বেইজড ক্লিনজার দিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। খুব বেশি জোরে ম্যাসাজ করবেন না, সার্কুলার মোশনে আলতোহাতে ম্যাসাজ করবেন। ফেসিয়াল ম্যাসাজ করার টুলও ইউজ করতে পারেন ফেইস ক্লিন করার সময়।
মুখে হাসি দিয়ে এক্সফলিয়েটর মেশিন দিয়ে ত্বক ক্লিন করছেন একজন মেয়ে
৩) স্ক্রাবিং
আমাদের স্কিনে ডেড স্কিনসেলস তৈরি হয় প্রাকৃতিকভাবে, যা আমাদের স্কিনের ন্যাচারাল গ্লো কমিয়ে দেয়। তাই এক্সফোলিয়েটরের গুরুত্ব অনেক বেশি। বাড়িতে আমরা চালের গুড়া, বেসন দিয়ে ঘরোয়া স্ক্রাব বানিয়ে ইউজ করতে পারি অথবা স্কিন টাইপ এর সাথে মিলিয়ে যেকোনো ভালো ব্র্যান্ডের স্ক্রাব নিতে পারি। তবে বলে রাখা ভালো, ফেইসে পিম্পলস থাকলে স্ক্রাবিং করা যাবে না। সেক্ষেত্রে ক্যামিকেল এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করতে পারেন। নরমালি ৩/৪ মিনিট খুব হালকা হাতে দানাদার স্ক্রাব দিয়ে স্কিন এক্সফোলিয়েট করতে হবে। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন।
৪) টোনার বা রোজ ওয়াটার স্প্রে
স্কিন কেয়ারে টোনারকে কোনোভাবেই ইগনোর করা যায় না। ত্বক ভালোভাবে ক্লিন করার পর টোনার ইউজ করলে আমাদের স্কিনের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকে, ত্বকের টেক্সচার ভালো থাকে, স্কিন হাইড্রেটেড থাকে। টোনার হিসেবে আমরা রোজ ওয়াটার স্প্রে করতে পারি। এছাড়া এখন বিভিন্নরকম টোনার পাওয়া যায়। ব্রণ থাকলে টি ট্রি বা গ্রিন টি যুক্ত টোনার ইউজ করতে পারেন, ব্রাইটনেস চাইলে ফ্রুট বা ন্যাচারাল এক্সট্রাক্ট যুক্ত টোনার ভালো হবে। তবে অ্যালকোহল যুক্ত, ক্ষতিকর ক্যামিকেল আছে এমন প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলবেন।