বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু হয় আমাদের শরীরে হরমোনাল পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের কারণে শারীরিক পরিবর্তনের সাথে সাথে ত্বকেরও পরিবর্তন আসে। আর তখন থেকেই একনে সমস্যার শুরু। এই একনের আবার বিভিন্ন ধরণ রয়েছে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে- সিস্টিক একনে। আজকে আসুন জেনে নেই, কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে সিস্টিক একনের পরিচর্যা করবেন।
সিস্টিক একনে কী?
সাধারণ একনের চেয়ে সিস্টিক একনে ভিন্ন। এই একনেগুলো নরমাল একনের চেয়ে আকারে তুলনামূলক বেশি বড়, লাল এবং খুব ব্যাথাযুক্ত হয়। এই ধরনের একনে সাধারণ একনের মতো সহজে চলে যায়না, বরং এই সিস্টিক একনেগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং যেতেও বেশ সময় লাগে। আর পরবর্তীতে দাগও পড়ে যায়।
কেন সিস্টিক একনে হয়?
স্কিনে একনে তখনই হয়, যখন আপনার স্কিনের পোরস ক্লগ হয়ে যায় এবং স্কিনে অনেক ডেড স্কিন সেলস বা মৃত কোষ জমে। অয়েলি স্কিনে একনে হবার চান্স বেশি থাকে। হরমোনাল ইমব্যালেন্স, ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব, ত্বকে ডেড সেল এবং ময়লা জমে পোরস ক্লগড হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত মেকাপ ব্যবহার ও প্রপার ক্লেনজিং না করা, খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব এবং আনহেলদি লাইফস্টাইল সহ আরও বিভিন্ন কারণে সিস্টিক একনে হতে পারে।
ঘরোয়া উপায়ে সিস্টিক একনের পরিচর্যা
ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে সিস্টিক একনে থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। তবে ঘরোয়া রেমেডি ট্রাই করার আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নিবেন যে, প্রাকৃতিক এই উপাদানগুলো আপনাকে স্যুট করে কিনা! কেননা আমাদের একেকজনের ত্বকের ধরন একেক রকম। তাই প্রাকৃতিক উপাদান হলেও সবাইকে সব উপাদান স্যুট নাও করতে পারে।
তবে চলুন জানা যাক, ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করে কীভাবে সিস্টিক একনের পরিচর্যা করা যেতে পারে।
১. নিম
ব্রণ দূর করতে নিমের ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। নিমে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ, যা ব্রণের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
যেভাবে ব্যবহার করা যাবে
প্রথমে ৯/১০ টা নিমপাতা অল্প পরিমান পানির সাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে ১৫/২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে ৩/৪ দিন ব্যবহার করলে বেশ ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে।
৭/৮ টি নিমপাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে গ্লাসে ছেঁকে নিতে হবে। এভাবে প্রতিদিন সকালে পানিটা খেলে ভেতর থেকে টক্সিন কমাতে সাহায্য করবে এবং ব্রন হবার প্রবণতা কমে যাবে।