আমরা যেহেতু শুষ্ক ত্বকে সারাবছর জুড়েই লোশন ব্যবহার করি, তাই বাজেটেরও একটি ব্যাপার থাকে সেখানে। আমার নিজের যেহেতু ড্রাই স্কিন, তাই আমিও ভালো মানের একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি বডি লোশন খুঁজছিলাম। এরপর অনলাইনে জানতে পারি, রাজকন্যার ব্রাইটেনিং বডি লোশন (সুপার ময়েশ্চার) সম্পর্কে। এই বডি লোশনটি আমি কিছুদিন ধরে ব্যবহার করছি। আরআজকে আমি কথা বলবো, এই বডি লোশনটির কাজ এবং লোশনটিতে থাকা ইনগ্রেডিয়েন্ট এর উপকারিতা নিয়ে। পাশাপাশি জেনে নিব, বডি লোশন ত্বকের শুষ্কতা এড়াতে পারফেক্ট বডি লোশন কতটা কার্যকরী ছিল তা নিয়ে। চলুন তাহলে দেরী না করে জেনে নেয়া যাক, আমার এক্সপেরিয়েন্স।
কী কী আছে এতে?
রাজকন্যা ব্রাইটেনিং বডি লোশন (সুপার ময়েশ্চারাইজার) এ আছে ত্বকের জন্য উপকারী সব উপাদান। লোশনটিতে আছে এলমন্ড মিল্ক, আরগান অয়েল এবং সোডিয়াম হায়ালুরনেট। এলমন্ড মিল্ক আমাদের ত্বকের জন্য কতটা কার্যকরী তা আমরা সবাই জানি। এলমন্ড মিল্ক ত্বককে ভেতর থেকে ময়েশ্চার করে এবং ত্বককে রাখে হাইড্রেটেড। এতে থাকা আরগান অয়েল ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে সুপরিচিত। আরগান অয়েলে আছে অ্যান্টি এজিং প্রপারটিজ, যা ত্বকের ফাইনলাইনস এবং রিংকেল এড়াতে কার্যকরী। এই ময়েশ্চারাইজারটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ত্বককে করবে উজ্জ্বল।
বডি লোশনটির কার্যকারিতা
১।এটি ত্বকের সাথে খুব সুন্দর ভাবে মিশে যায় এবং ত্বককে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ময়েশ্চারাইজড রাখতে পারে।
২। এই ময়েশ্চারাইজারটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ত্বককে করে উজ্জ্বল।
৩। ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহারে ত্বকের ড্রাইনেস বা শুষ্কতা কমে যায়।
৪। এই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ত্বক থাকে সফট।
৫। ময়েশ্চারাইজারটিতে থাকা এলমন্ড মিল্ক ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে উপযোগী।
৬। ময়েশ্চারাইজারটির আরেকটি উপাদান হচ্ছে- আরগান অয়েল, যা ত্বকে অ্যান্টি এজিং এর কাজ করে।
কারা ব্যবহার করতে পারবে?
এই ময়েশ্চারাইজারটি সকল ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী, তবে যাদের ড্রাই স্কিন তাদের জন্য এটি বিশেষ উপযোগী। আমাদের যাদের ত্বক ডিহাইড্রেটেড এবং রাফ হয়ে যায় তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী। অনেক সময় আমাদের হাতের ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। বিশেষ করে, আমাদের মায়েদের হাত। ক্ষারযুক্ত সাবান, ডিটারজেন্ট আর পানির কাজের ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক ময়েশ্চার হারিয়ে ফেলে। তাই এর সমাধান হতে পারে হাইড্রেটেড একটি ময়েশ্চারাইজার।
কখন ব্যবহার করবেন?
আপনি দিনে যেকোন সময় এই লোশনটি ব্যবহার করতে পারবেন। বিশেষ করে, গোসলের পরপরই ময়েশ্চারাইজারটি বডিতে এপ্লাই করলে তা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে এবং ত্বকের শুষ্ক হয়ে যাওয়া রোধ করবে। আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজারটি এপ্লাই করলে সকালে পাবেন সফট এবং গ্লোয়িং স্কিন