প্রচন্ড দারিদ্র থেকে দীর্ঘ লড়াই করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে শ্বেতা ভট্টাচার্য। ছোট পর্দায় শ্বেতা ও রুবেল শুধুই প্রতিষ্ঠিত নয়, তাদের ভক্ত সংখ্যা অনেক। তাদের দীর্ঘদিনের পরিচয়। তার পর প্রেম। এবার আরও একধাপ এগোতে চলেছে তাঁদের সম্পর্ক। ছোট থেকে অনেক কষ্ট করেই বড় হয়েছেন শ্বেতা। সে কথা অনেক সাক্ষাত্কারেই বলেছেন নায়িকা। এক শ্বেতা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বড়লোকদের বাথরুম যে রকম হয়, আমাদের ঘরটা সে রকম ছিল। একান্নবর্তী পরিবার ছিল। আমি, মা আর বাবা ছোট্ট একটা ঘরে থাকতাম। এমনও হয়েছে যে দুপুর বেলা হয়তো ভাত খেয়েছি নুন দিয়ে। কিন্তু রাতে কী দিয়ে খাব তা জানা নেই।” সেই পরিস্থিতি থেকে লড়াই করে আজকে অনেকটা স্বস্তির মুখ দেখেছেন শ্বেতা। আজ তাদের বিয়ের আয়োজন কেমন হয়েছে? প্রশ্ন ভক্তদের।
শ্বেতা জানিয়েছে বিয়ের জন্য,
দমদম ইমামি সিটির বিপরীতে রাজা প্যালেস বুক করেছেন শ্বেতা। বিরাট জায়গা জুড়ে ম্যারেজ হলটির অন্দরসজ্জা চোখ ধাঁধানো। পাশাপাশি রয়েছে বেশ বড়সড় খোলা জায়গা। ইনডোর এবং আউটডোর মিলিয়ে প্রায় ৪০০-৬০০ জন অতিথির জায়গা হতে পারে এই ম্যারেজ হলে। জানা গিয়েছে, এটি বুকিংয়ের জন্য নাকি খরচ শুরু হয় ২ লক্ষ টাকা থেকে। এখন শ্বেতা তার পরিবার নিয়ে খুব খুশি। বাবা ও মায়ের জন্য তার খুবই চিন্তা।
আজ বিয়ের অনুষ্ঠানে বিয়ের আসরে বসবে চাঁদের হাট – তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শ্বেতা খুবই অকপট। তিনি স্পষ্ট কথা স্পষ্ট করেই বলেন। শ্বেতা জানায়,’যমুনা ঢাকি’ সিরিয়ালের সেট থেকেই তাঁদের প্রেমের শুরু। রুবেলই নাকি প্রথম প্রেম প্রস্তাব দেন। বেশ অনেক দিন অপেক্ষার পরে নায়কের প্রেমে সাড়া দেন নায়িকা। আজ শুরু হচ্ছে তাদের নতুন জীবন। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা – নব দম্পতিকে।