কমবেশি সকলেই বুঝতে পেরেছেন যে সঞ্জয় রায় প্রত্যক্ষভাবে ওই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। সে-ই ধর্ষণ ও হত্যার প্রথম সারিতে ছিল। তাই সঞ্জয়কে অপরাধী সাব্যস্ত করায় প্রথমিকভাবে সকলেই খুশি। কিন্তু এতো বড়ো একটা কান্ড শুধুই সঞ্জয় একা করেছে – এটা নাগরিক মহলের মতো বিনোদন জগতের অনেকেই মানতে পারছেন না। অনেকে এখানে ‘সেটিং’ শব্দটাকে আবার সামনে নিয়ে এসেছে। কিঞ্জল নন্দ, অভিনেতা তথা চিকিৎসক যিনি আরজি কর আন্দোলনে প্রথম দিন থেকে যুক্ত ছিলেন, বিচার চেয়ে বারবার পথে নেমেছিলেন তিনি এদিন জানান, ‘যার গেল তার গেল। ওঁর বাবা মায়ের ক্ষতি কোনও দিন পূরণ করতে পারব না। তবে চেষ্টা করব ওঁদের সঙ্গে থাকার ওঁরা যতদিন বাঁচবেন ততদিন।’ চৈতি ঘোষাল এদিন সাফ জানিয়ে দেন তিনি বিশ্বাস করেন না যে সঞ্জয় একা এই কাজ ঘটিয়েছে। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী এদিন বলেন, ‘সঞ্জয় একাই দোষী এটা মানতে পারছি না। আর কেউ দোষী নয়? একার পক্ষে ওই তরুণী চিকিৎসককে অমন নৃশংস ভাবে খুন, ধর্ষণ করা সম্ভব, এটা বিশ্বাস করতে পারছি না ।’ এমন কথা নাগরিক মহলের অনেকেই বলেন। অনেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করুন।
এদিকে বামপন্থীরা তাদের পুরোনো অবস্থানে ফিরে এসে কেন্দ্র রাজ্যের সেটিং তত্ত্ব সামনে আনে। শিল্পী উষসী চক্রবর্তী এদিন জানান, ‘রাঘব বোয়ালরা অধরা থেকে গেল একজন বোড়েকে এভাবে ব্যবহার করে। সঞ্জয় দোষী, কিন্তু তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের কারও গায়ে কোনও আঁচড় লাগল না?’ চালচিত্র ছবির পুতুল ওরফে তানিকা বসু জানিয়েছেন তিনি বিরক্ত এই রায় শুনে। তাঁর কথায়, ‘সঞ্জয় রায়ের কাঁধেই প্রথম থেকে বন্দুক রাখা ছিল। যাঁদের জামিন পাওয়ার তাঁরা ঠিকই জামিন পেয়ে গেল।’ প্রশ্ন উঠেছে, অজস্র প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নি CBI. তাই এই কেস চলবে আরও অনেকদিন। যতদিন না পর্যন্ত আরও অপরাধী ধরা পড়ছে, ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাবার কথা বলেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।