অফবিট

ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় অলিভ অয়েল কীভাবে কাজ করে?

ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল

আমাদের ত্বকে শুষ্কতা থেকে শুরু করে স্কিন ড্যামেজের মত নানান সমস্যার সমাধানে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয়। ত্বক পরিচর্যায় কী কী গুণ আছে এই তেলের সেটা এখন জানাবো।

 

১) কোমল ত্বক পেতে

 

আমাদের অনেকেরই দেখা যায় ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম ইউজ করার পরও ত্বক ড্রাই লাগে। সেক্ষেত্রে স্কিন ক্যাফে অরগানিক এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে লং টাইম পর্যন্ত স্কিন থাকবে সফট ও নারিশড। স্কিনকে ডিপলি ময়েশ্চারাইজড করতে অলিভ অয়েল কয়েক ফোঁটা নিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে নিন। তারপর ৩০-৪০ মিনিট পরে মাইল্ড কোন ফেইস ওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

 

২) স্কিন ড্যামেজ কমাতে

 

অলিভ অয়েলে আছে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। সবগুলো ভিটামিনের আলাদা আলাদা কিছু বেনিফিট আছে। অলিভ অয়েলে সবচেয়ে বেশি অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট হল ভিটামিন ই, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফ্রি রেডিকেলসের কারনে স্কিনে যে ড্যামেজ হয়, তা কমাতে অলিভ অয়েল হেল্প করে। ভিটামিন ই একজিমা, সোরিয়াসিস-এর মত স্কিন ডিজিস থাকলে স্কিনে সুথিং ইফেক্ট দেয় এবং এগুলো কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

 

৩) উজ্জ্বল ত্বক পেতে

 

স্কিন ক্যাফে অরগানিক এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে স্কিন লাইটেনিং উপাদান থাকাতে এটা স্কিনকে ব্রাইট করতে হেল্প করে। প্যাক বানানোর জন্য ১ টেবিল স্পুন অলিভ অয়েলের সাথে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া এবং ২ টেবিল স্পুন টকদই ভালোভাবে মিক্স করে ফেইস এবং গলায় লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ বার এই ফেইস প্যাক ব্যবহারে স্কিন ন্যাচারালভাবেই উজ্জ্বল হবে।

 

 

 

 

৪) অ্যান্টি এজিংয়ের উপাদান হিসাবে

 

এই অয়েল ব্যবহারে এজিং প্রসেস স্লো হয় এবং স্কিনের ফাইন লাইন্স, রিঙ্কেল অনেকটাই কমে আসে। স্কিনে যদি রেডনেসের প্রবলেম থাকে, তবে তা অলিভ অয়েল ব্যবহারে কমে যায়। স্মুথ স্কিন পেতে ১ টেবিল স্পুন অলিভ অয়েলের সাথে ১ টেবিল স্পুন মধু এবং ডিমের কুসুম মিক্স করে তা ফেইস এবং গলায় লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বকের কুঁচকানো ভাব অনেকটাই কমে যাবে, সেই সাথে স্কিন হবে তারুণ্যদীপ্ত।

 

চুলের পরিচর্যায় অলিভ অয়েল

চুল পড়া এবং খুশকির প্রবলেম নেই এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। অলিভ অয়েলে আছে ওমেগা-৩ এসিড এবং অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টস, যা চুলের গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে আর চুল পড়া কমায়। স্ক্যাল্পে যদি ইচিনেস থাকে এবং ড্যানড্রাফের প্রবলেম থাকে, তাহলে অলিভ অয়েল ব্যবহারে তা কমে যাবে। অলিভ অয়েল ড্রাই স্ক্যাল্পের প্রবলেম সলভ করে হেয়ার কিউটিকেল সফট করে। অলিভ অয়েল, লেবুর রস এবং পানি সমপরিমানে নিয়ে সেটা ভালোভাবে মিক্স করে হালকা ভেজা চুলে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর তা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। চুল জটমুক্ত ও ঝরঝরে হবে নিমিষেই।

 

চোখের চারপাশের ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল

আমাদের ডার্ক সার্কেল নিয়ে চিন্তা করতে করতে ডার্ক সার্কেল আর চোখের নিচের ভাঁজ যেন আরও বেড়ে যায়। অলিভ অয়েলে আছে ভিটামিন কে, যা চোখের নিচের স্কিনটোনকে ইভেন করে আর রিংকেলের প্রবলেমও সলভ করে। রিং ফিঙ্গারে অলিভ অয়েল নিয়ে তা আন্ডার আই বা চোখের নিচের এরিয়াতে হালকা করে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। পরিমাণমত নিয়ে ইভেনলি কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে সারারাত রেখে দিতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.