আমার বেশি করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলেই হবে। কিন্তু আসলে দেখা যায়, তার স্কিনে হাইড্রেশন এর অভাব আছে। এই ব্যাপারগুলোতো বুঝতে হবে আগে। সেই বুঝে স্কিন কেয়ার করলেই তবে না পাওয়া যাবে হেলদি লুকিং স্কিন। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই, হাইড্রেশন নাকি ময়েশ্চারাইজেশন, কোনটা আপনার ত্বকের জন্য দরকার সেই সম্পর্কে।
হাইড্রেশন কেন আপনার ত্বকের জন্য দরকার?
আমাদের ত্বক কিন্তু প্রায়শই পানি হারায়। যার ফলে স্কিন ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। যে কোনো স্কিন টাইপেই ডিহাইড্রেশন দেখা যেতে পারে, সেটা হোক নরমাল, অয়েলি বা ড্রাই স্কিন। তখন স্কিনে হাইড্রেটর হিসেবে কাজ করে এমন কিছু প্রোডাক্ট যেমন- সিরাম, যা বিশেষ ফর্মুলা মেনে বিশেষ উপাদান দিয়ে তৈরি। এটি ব্যবহারের ফলে ত্বকে পানির পরিমাণ বাড়ে। ত্বক যে পরিমাণ পানি হারিয়েছে, হাইড্রেশন সেই পানির অভাব পুরোটাই পূরণ করে দেয়। যার ফলে স্কিন সেলস দেখতে উজ্জ্বল এবং দ্বীপ্তিময় লাগে। হাইড্রেশন শুধুমাত্র ত্বকের আদ্রতাই বাড়ায় না, এটি কোনো প্রোডাক্ট-এ থাকা নিউট্রিয়েন্টসগুলো আমাদের ত্বকে শোষণে সাহায্য করে।
স্কিন ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ
রিংকেলস, রেডনেস, ড্রাই, খসখসে, লুজ স্কিন ইত্যাদি হলো স্কিন ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ! পরিমানমতো পানি না খাওয়া, প্রচুর ক্যাফেইন জাতীয় ড্রিংকস খাওয়া, আনহেলদি ফুড হ্যাবিট, দূষন ইত্যাদি স্কিনকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। তাই এগুলো মেনটেইন করে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
কীভাবে স্কিনের যত্ন নিবো?
ডিহাইড্রেট স্কিন থেকে মুক্তি পেতে আমাদের স্কিন কেয়ারে যোগ করতে হবে হাইড্রেশন দেয় এমন প্রোডাক্ট। যেমন – Hyaluronic acid, glycerin, alpha hydroxy acids, sodium pca এগুলোকে হাইড্রেটিং ইনগ্রেডিয়েন্টস বলা হয়। যেমন, Hyaluronic acid যুক্ত সিরাম ব্যবহারে আপনার স্কিনে হাইড্রেশন ফিরে আসবে।
ময়েশ্চারাইজেশন
ময়েশ্চারাইজেশন আমাদের ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে। হাইড্রেশন যেমন আমাদের স্কিনে আর্দ্রতা দেয়, তেমনি সেই আর্দ্রতা ধরে রাখাটাও কিন্তু জরুরী। আর ময়েশ্চারাইজেশন সেটা ধরে রাখার কাজটি করে থাকে। এটি স্কিনের উপরে একটা প্রোটেকটিভ ব্যারিয়ার তৈরি করে এবং ময়েশ্চার লক করে দেয়। যার ফলে স্কিন সফট অ্যান্ড স্মু্থ থাকে।
ময়েশ্চারাইজারের ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো হচ্ছে – petrolatum, silicone derivatives, lanolin, lecithin ইত্যাদি, যা স্কিন ব্যারিয়ার ইম্প্রুভ করে ফেইসের আর্দ্রতা ধরে রাখে।