কেন আন্ডারআর্মস কালো হয়ে যায়?
১) হাইপার পিগমেন্টেশন
এশিয়ানদের মধ্যে স্কিন মেলানোসাইট সেলগুলো সাইজে অনেক বড় হয়ে থাকে, ফলে তা খুব সহজেই এক্সপ্যান্ড হয়ে যায়, আর এজন্যই আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাইপার পিগমেন্টেশনের সমস্যাটা একটু বেশিই দেখা যায়। আন্ডারআর্ম বা বগলেও পিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
একজন তার ডার্ক আন্ডারআর্মস দেখছেন
২) অ্যাকানথোসিস নিগ্রিকানস
এই টার্মটি আমাদের অনেকের কাছে অপরিচিত। ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত ওজনের জন্য শরীরের কিছু অংশে কালচে ছোপ পরে যায়। ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিন লেভেল কন্ট্রোলে না থাকার কারণে আন্ডারআর্মে ও শরীরের ভাঁজগুলোতে কালচে দাগ হয়ে যায়। আরেকটি কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত ওজন। বডিতে বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে গলা, ঘাড় ও বগলে কালো কালো প্যাচ দেখা যায়। এই স্কিন কন্ডিশনকেই বলা হয় অ্যাকানথোসিস নিগ্রিকানস।
৩) ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির পেলেও আন্ডারআর্মস কালো হয়ে যেতে পারে। ঘাম, ময়লা ঠিকমত পরিস্কার না হওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়ার গ্রোথ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ঐ স্থানে হেয়ার গ্রোথ বেড়ে গেলে এবং প্রোপারলি রিমুভ না করলে সেখানে জীবাণুর সংক্রমণ হয়, এতেও আন্ডারআর্ম কালো হয়ে যায়।
ডার্ক আন্ডারআর্মস ব্রাইট করার উপায়
এক্সফোলিয়েট করা
ডেড সেলস ঠিকমত পরিষ্কার না হলে হাইপার পিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সপ্তাহে এক থেকে দুইবার আন্ডারআর্মস এক্সফোলিয়েট করতে হবে। এতে ডেড সেলস পরিষ্কার হবে, ব্যাকটেরিয়ার গ্রোথও কমে যাবে। আর স্কিনের কালচেভাব কমে আসবে ধীরে ধীরে। চিনি এবং মধু এক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ, আন্ডারআর্মের জন্য ন্যাচারাল এক্সফোলিয়েটর হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। অথবা যেকোনো ফিজিক্যাল এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করলেও হবে।
ডার্ক আন্ডারআর্মসের সল্যুশনে ময়েশ্চারাইজেশন
আন্ডারআর্মেও ময়েশ্চারাইজার আপ্লাই করা উচিত। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজড এবং সফট থাকবে। অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন। ধীরে ধীরে কালচেভাব অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়াও নারিশিং বডি লোশন অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
ঘরোয়া প্যাক লাগানো
সপ্তাহে ১/২ দিন ফেইসের পাশাপাশি আন্ডারআর্মেও প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে পিগমেন্টেশন কমে আন্ডারআর্মস এরিয়া উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত হবে। প্যাক হিসাবে রোজ পেটাল পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি ন্যাচারালভাবে স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করে, এছাড়া এতে ভিটামিন সি রয়েছে যা হাইপার পিগমেন্টেশন ও ড্রাইনেস কমিয়ে স্কিনকে ব্রাইট করে। রোজ পেটাল পাউডারের সাথে টকদই মিক্সড করে বগলে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।