বডি কেয়ার কেন দরকার?
আমরা রোজ যেমন খুব নিয়ম করে স্কিনকেয়ার করি, ঠিক একইভাবে শরীরের ত্বকের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ফেইস খুব সুন্দর কিন্তু তার সাথে রুক্ষ-শুষ্ক হাত-পা দেখতে কিন্তু কিছুতেই ভালো লাগবে না। বছরের অন্য সময়ের থেকে শীতকালে আমাদের ত্বকের প্রয়োজন এক্সট্রা কেয়ার। কারণ শীতকালে যাদের নরমাল স্কিন তাদের ড্রাই স্কিন হয়ে যায়, আর যাদের ড্রাই স্কিন তাদের তো অনেক সময় স্কিন ফেটে ফেটে যায়। তাই আমরা যদি প্রথম থেকেই প্রোপারলি বডি কেয়ার করতে পারি, তাহলে পুরো শীতকালে আমাদের আর ড্রাই স্কিন নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হবে না। ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, কোমল ও সুন্দর।
বডি কেয়ার
শীতকালে বডি কেয়ার কীভাবে করবেন?
প্রথমেই বডি কেয়ারকে কয়েকটা স্টেপে ভাগ করে নেই, যাতে আপনাদের বুঝতে খুব বেশি ঝামেলা মনে না হয়। দেখে নিন কোন কোন প্রোডাক্টগুলো আপনার প্রয়োজন হবে।
১. অয়েল
২. বডি ওয়াশ
৩. বডি বাটার /বডি লোশন
৪. সানস্ক্রিন
৫. বডি স্ক্রাব
অয়েল ম্যাসাজ
অয়েল বা তেলের কথা কেন বলছি? দেখে হয়তো ভাবছেন যে, গোসলের পর একবারে বডি লোশন বা বডি বাটার দিলেই তো হয়, আবার তেল কেন? সপ্তাহে ২/৩ দিন যদি গোসলের আগে পুরো বডিতে অয়েল ম্যাসাজ করে নিতে পারেন, তাহলে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়বে, স্কিন অতিরিক্ত ড্রাই হয়ে যাওয়ার চান্স থাকে না। আর গোসলের সময় স্কিন থেকে ন্যাচারাল অয়েল রিমুভ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে গোসল এর আগে বডিতে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করে নিলে স্কিনের ন্যাচারাল অয়েল লেভেল ব্যালেন্সড থাকে। অয়েল ম্যাসাজের জন্য আপনারা আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল ইউজ করতে পারেন। এছাড়াও ময়েশ্চারাইজিং বডি অয়েলও ব্যবহার করা যেতে পারে।
অয়েল
বডি বাটার বা বডি লোশন
এবার সবথেকে ইম্পরট্যান্ট পার্ট নিয়ে কথা বলবো, সেটা হলো ময়েশ্চারাইজিং। শীতে ত্বকের যত্নে রেগুলার ময়েশ্চারাইজার ইউজ করা খুবই দরকার। নাহলে আপনার স্কিন ড্রাই হয়ে যাবে, ফেটে যাবে খুব সহজেই! আর স্কিনে যখন এরকম টানটান ফিল হবে, তখন এমনিতেই খুব অস্বস্তি লাগবে। তাই প্রতিদিন গোসলের পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লোশন বা বডি বাটার ইউজ করতে হবে। যাদের স্কিন টাইপ নরমাল তারা লোশন ইউজ করতে পারেন। আর যাদের স্কিন খুব ড্রাই, বার বার ময়েশ্চারাইজিং করতে হয়, তারা বডি বাটার ইউজ করতে পারেন নিশ্চিন্তে।