৩০ বছর বয়সের পর দিনের স্কিন কেয়ার রুটিন
ত্বক সুরক্ষার প্রথম ধাপ শুরু হয় দিনের শুরু থেকে। তাই সেভাবেই স্কিন কেয়ার ভাগ করে নিতে হবে। দিনের স্কিন কেয়ারের মধ্যে যা যা থাকবে-
ক্লেনজিং
ত্বক ভালো রাখতে সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে নিয়মিত ক্লেনজিং করা। আর এই ক্লেনজিং করতে হবে সকাল ও রাতে। ত্বকের ধরন বুঝে এমন ফেইসওয়াশ বেছে নিতে হবে যেটাতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন- ভিটামিন এ, বি ২, বি ১২ ও ই এর উপস্থিতি থাকে।
টোনিং
স্কিন কেয়ারে টোনার খুব জরুরি একটি উপাদান। পোরস টাইট করতে, ইমপিউরিটিস দূর করতে, সর্বোপরি স্কিনকে রিব্যালেন্স করতে টোনিং করা খুবই জরুরি। ত্বকের pH লেভেল রিব্যালেন্স করতেও সাহায্য করে টোনার। ক্লেনজিং এর পর টোনার ব্যবহার করা উচিত। দিনে একবার টোনার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।
সিরাম/অ্যাম্পুল
সিরাম মূলত হাইলি কনসেনট্রেটেড পাওয়ারফুল ইনগ্রেডিয়েন্টগুলোকে অনেক লাইট বা থিন ফর্মুলার আকারে তৈরি করা। সিরাম আমাদের স্কিনের একদম ভেতরের লেয়ার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে বেশ কয়েকটি সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। যেমন- স্পট বা পিগমেন্টেশনের সমস্যা, সান ট্যান, ব্রণের দাগ, আন ইভেন স্কিনটোন, রিংকেলসের সমস্যা। এক কথায় অ্যান্টি এজিং রুখে দেওয়ার জন্য সিরাম বেশ কার্যকর একটি উপাদান। চাইলে দিনে দুইবার সিরাম ব্যবহার করা যায়। তবে দিনে যদি নাও করা হয় রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই সিরাম ব্যবহার করতে হবে।
অ্যাম্পুল সিরামের মতই আরও একটি ট্রিটমেন্ট। আপনি চাইলে সিরাম অথবা অ্যাম্পুলের যে কোনো একটির অল্টারনেটিভ হিসেবে অন্যটি ব্যবহার করতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজিং
ময়েশ্চারাইজারের মধ্যে সিরামাইডস অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আরও ভেঙে বললে উদ্ভিদ থেকে পাওয়া সিরামিড অর্থাৎ ফাইটোসিরামিডগুলো থাকলে বেশি ভালো। এগুলো প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া ওয়াক্সি লিপিড যেগুলো ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখে। ত্বকের জন্য যখন ময়েশ্চার বেছে নিচ্ছেন তখন এই উপাদানগুলো আছে কিনা দেখে নিন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ত্বকে অয়েল প্রোডাকশন কমতে থাকে। তখন স্কিন ধীরে ধীরে ড্রাই হতে থাকে। এতে তেমন দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। নিয়মিতভাবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে শুষ্কভাব কম হবে।
সানস্ক্রিন
সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাবে আমাদের ত্বকের কোলাজেন প্রোডাকশন দিন দিন কমতে থাকে, ফলে কম বয়সেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। এছাড়া র্যাশ, রেডনেস, স্কিনে ইরিটেশন হওয়া, স্কিন টোনের তারতম্য, মেলাজমা বা মেসতার মত সমস্যাও দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যার সমাধান করতে স্কিন প্রোটেকশন হিসেবে ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। বাইরে বের হলে তো অবশ্যই, ঘরেও সূর্যের আলোর ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন ব্যবহার আবশ্যক।