দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ পেসার কুয়েনা মাফাকা তার টেস্ট অভিষেকে দেখিয়ে দিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চে তিনি প্রতিভার ঝলক দেখাতে প্রস্তুত। পাকিস্তানের বিপক্ষে কেপ টাউনে দ্বিতীয় টেস্টে মাফাকার বোলিংয়ে তারুণ্যের তেজ এবং অভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট।
মাত্র ১৯ বছর বয়সী এই পেসার তার প্রথম উইকেট পেয়েছিলেন পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার বাবর আজমকে ফিরিয়ে। বাবর ৫৮ রানে ব্যাট করছিলেন, যখন মাফাকার একটি অনিয়ন্ত্রিত লেগ-সাইড ডেলিভারি কাইল ভেরিয়েনের গ্লাভসে লেগে বাবরের উইকেট এনে দেয়। উইকেট পাওয়ার পর মাফাকার উদযাপন ছিলো তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে ভরপুর। “প্রথম উইকেট পাওয়ার আনন্দে দৌড়ে মাঠ ঘুরেছি,” বলছিলেন তিনি।
ম্যাচে মাফাকা আরও দুই উইকেট নেন। চতুর্থ দিনের সকালে পুরনো বলে তার বোলিং নজর কাড়ে। ১৪৫ রানে সেট হওয়া পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদের মূল্যবান উইকেটও তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় নতুন বলে তার সঠিক লাইন-লেংথ এবং গতি পাকিস্তানি ব্যাটারদের চাপে রাখে।
মাফাকার বোলিংয়ে তারুণ্যের সঙ্গে দেখা গেছে নিয়ন্ত্রণ এবং ধৈর্য। মাত্র চারটি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচ খেলা এই পেসার তার অভিষেক টেস্টে ১২৮টি বল করেন। বোলিং লোড ধীরে বাড়িয়ে তোলার পরিকল্পনায় তাকে সঠিকভাবে ব্যবহারের কৃতিত্ব অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার।
টেস্ট কোচ শুকরি কনরাডের আস্থা এবং অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদার সঙ্গে তার “বড় ভাই” সম্পর্ক তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। “ক্রিকেটের চাপ থাকলেও ড্রেসিংরুম থেকে কোনো চাপ নেই,” জানালেন মাফাকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ভবিষ্যৎ পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা মাফাকা ইতিমধ্যেই দেখিয়েছেন। আগামীতে তারুণ্যের এই গতির ঝড় আরও ধারালো হয়ে উঠবে, সেটাই প্রত্যাশা।