অফবিট

ত্বকের ধরন সম্পর্কে জেনে স্কিনকেয়ারে অ্যাড করুন পারফেক্ট টোনার!

টোনার কী?

টোনার একটি ওয়াটার বেইজড স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট। ক্লেনজিং এর পর নেক্সট স্টেপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় টোনার। স্কিন এক্সফোলিয়েট করতে, ডিপলি ক্লেঞ্জ করতে, হাইড্রেটেড রাখতে এবং স্কিনকে নেক্সট স্টেপগুলোর জন্য প্রিপেয়ার করতে ব্যবহার করা হয়।

 

সহজ ভাষায় বললে, টোনার দেখতে পানির মতো। আবার এর কাজও ঠিক পানির মতোই। কিন্তু একে পানি ভেবে ভুল করবেন না যেন! পানির মূল উপাদান হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন। টোনারের ধরন ডিপেন্ড করে এতে থাকা অ্যাসিড, গ্লিসারিনসহ অন্যান্য এলিমেন্টসের উপর। টোনারে আরও থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রোপার্টিজ। স্কিনের সারফেসে অল্প সময়ে হাইড্রেশন ফিরিয়ে আনতে হেল্প করে টোনার। স্কিন কেয়ার রুটিনে টোনারের গুরুত্ব সিরাম আর ময়েশ্চারাইজারের মতোই।

 

ত্বকের ধরন অনুযায়ী টোনার বাছাই

 

কেন টোনার ব্যবহার করবেন?

আমাদের স্কিন ন্যাচারালি কিছুটা অ্যাসিডিক। ইদানিং ম্যাক্সিমাম ক্লেনজিং প্রোডাক্টে পিএইচ ব্যালেন্স হয়ে থাকে। কিন্তু এসব ক্লেনজিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করার পরও আমাদের স্কিন ন্যাচারাল পিএইচ লেভেলে ফিরে যেতে কিছুটা সময় নেয়। আর সাধারণত এই সময়টা আমরা অপেক্ষা করি না। তার আগেই নেক্সট স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট যেমন- ময়েশ্চারাইজার, সিরাম এগুলো স্কিনে অ্যাপ্লাই করে ফেলি। ফলে আমাদের স্কিন নেক্সট স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টগুলো থেকে বেনিফিটস নিতে পারে না। টোনার তখন স্কিনকে হাইড্রেট রাখতে, স্কিনের পিএইচ লেভেল ব্যালেন্স করে নেক্সট স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট অ্যাপ্লাইয়ের জন্য হেল্প করে।

নিজের ত্বক সম্পর্কে জানুন

হেলদি স্কিন পেতে টোনার ইউজ করা জরুরি এটা তো জানলাম। কিন্তু সব ধরনের স্কিনে কি একই ধরনের টোনার ইউজ করতে হয়? মোটেও না! টোনার ব্যবহার করার জন্য সবার আগে নিজের ত্বক সম্পর্কে জানতে হবে।

 

কীভাবে বুঝবেন আপনি কোন ত্বকের অধিকারী?

আপনার স্কিন টাইপ কী ধরনের এটা বোঝার জন্য খুব সহজ একটি পদ্ধতি আছে। সেটি হচ্ছে- ঘুম থেকে উঠে মুখ ক্লিন করে কোনো ধরনের প্রোডাক্ট ইউজ না করে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এবার একটি টিস্যু টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। এবার টিস্যুর টুকরোগুলো কপাল, নাক, গাল ও চিবুকে চেপে বসিয়ে দিন। যদি সবগুলো টিস্যুর টুকরো মুখে লেগে থাকে তবে বুঝতে হবে স্কিন অয়েলি। টিস্যুর সব টুকরোগুলো যদি পড়ে যায় তাহলে স্কিন ড্রাই, যদি টুকরোগুলো কপাল, নাক ও চিবুক অর্থাৎ টি জোনে লেগে থাকে তাহলে বুঝতে হবে স্কিন টাইপ কম্বিনেশন। যাদের স্কিন খুব অল্পতেই রিয়্যাক্ট করে বসে অর্থাৎ ইচিং, র‍্যাশ, রেডনেস এর মতো সমস্যা দেখা যায় তাহলে সেটি সেনসিটিভ স্কিন। সেনসিটিভ কিন্তু কোনো স্কিন টাইপ নয়। এটি স্কিনের একটি কন্ডিশন।

 

ত্বকের ধরন অনুযায়ী কী ধরনের টোনার বেছে নেবেন?

ত্বকের যত্নে অ্যাসেনশিয়াল একটি আইটেম হলেও সব স্কিনে একই টোনার ব্যবহার করা যাবে না। জেনে নিন আপনার ত্বকের জন্য কোন টোনারটি উপযুক্ত-

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.