অফবিট

টিনেজে স্কিন প্রবলেমের সল্যুশনে ৯টি সিম্পল ও ইজি স্টেপস

টিনেজারদের স্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে আলাদা কেন?

টিনেজ মানেই কনফিউশন, আর এই কনফিউশনটা ত্বকের ক্ষেত্রে তো আরও বেশি। আপনি যদি টিনেজার হন বা আপনার যদি এই বয়সের সন্তান থাকে, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। টিনেজারদের স্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে আলাদা, কেননা এই বয়সে ত্বকে কোলাজেন এর পরিমাণ বেশি থাকে, ফলে ত্বক টানটান ও অপেক্ষাকৃত মসৃণ দেখায়। টিনেজে স্কিনে ন্যাচারাল গ্লো থাকে, রিংকেলস বা পিগমেন্টেশন এই ধরনের প্রবলেম থাকে না। আর একটি বিষয়, টিনেজে হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে স্কিনে সেবাম নিঃসরণ বেড়ে যায়, তাই হুট করে একনে ও খোলা রোমকূপের সমস্যা দেখা দেয়।

 

টিনেজে স্কিন প্রবলেমের সল্যুশন

 

এই বয়সে স্কিনকেয়ার কেন জরুরি?

আমাদের অনেকেরই ধারণা এই বয়সে স্কিনে কিছু ব্যবহার করতে হয় না, এতে স্কিন নষ্ট হয়ে যায়! কিন্তু ধারণাটি পুরোটাই ভুল। আমাদের সবার উচিত টিনেজ থেকেই একটা বেসিক স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করা, যাতে পরবর্তীতে বড় বড় স্কিন প্রবলেমস থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। এই সময়ের সঠিক স্কিনকেয়ার পরবর্তীতে মেছতা, বলিরেখা বা রিংকেলস, পিগমেন্টেশন এই স্কিন প্রবলেমগুলো প্রিভেন্ট করে। আর এই সময়ে হেলদি গ্লোয়িং স্কিন কিন্তু আপনার আত্মবিশ্বাসকে আরও বাড়িয়ে দিবে। নিজেকে কনফিডেন্টলি প্রেজেন্ট করতে কে না চায়, বলুন তো? তাহলে জেনে নিন কীভাবে এই বয়সে ত্বকের পরিচর্যা করতে হবে।

 

টিনেজে স্কিন কেয়ার স্টেপস

১) ত্বকের ধরন বুঝে ক্লেনজিং

সারাদিন বাইরে থাকার ফলে ত্বকে জমে ধুলোময়লা। সারাদিনের এই ডার্ট, পল্যুশন আর ক্লান্তি দূর করতে দরকার ভালো মানের ক্লেনজার। ত্বকের ধরন বুঝে মাইন্ড ক্লেনজার ব্যবহার করুন, আলতো হাতে ম্যাসাজ করে পুরো মুখে পরিষ্কার করে নিন। রাতের বেলা প্রথমে অয়েল বেইজড ক্লেনজার দিয়ে ফুল ফেইস ক্লিন করুন, এরপর ফোম বা জেল বেইজড ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটা হচ্ছে ডাবল ক্লেনজিং প্রসেস। এতে পোরস বন্ধ হয়ে পিম্পল হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।

 

 

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে

অয়েলি স্কিন হলে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড যুক্ত ক্লেনজার ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ কমায়। আর এটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ব্রণ বা ব্রেকআউটস কমাতে হেল্প করে। নিম, ক্লে, গ্রিন টি, টি ট্রি, অ্যালোভেরা এই উপাদানগুলো অয়েলি ও একনে প্রন স্কিনের জন্য ভালো কাজ করে।

 

ড্রাই স্কিনের যত্নে

ড্রাই স্কিনে ব্যবহার করতে পারেন হানি, মিল্ক বা ক্রিম বেইজড ক্লেনজার যা আপনার স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড করবে এবং শুষ্কভাব কমাবে। ফেইস ওয়াশ কেনার সময় খেয়াল করুন সেটা ড্রাই স্কিনের জন্য ফর্মুলেটেড কিনা। আর স্কিনটাইপ যা-ই হোক না কেন, ক্লেনজিং এর পর টোনার অ্যাপ্লাই করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

 

২) এক্সফোলিয়েটিং

এই বয়সে ন্যাচারাল ওয়েতেই স্কিনের এক্সফোলিয়েশন হয়ে থাকে, কিন্তু আজকাল পল্যুশন ও স্ট্রেস এত বেড়েছে যে অল্প বয়সেই স্কিনে বয়সের ছাপ পড়ে যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.