আপনার জন্য সঠিক ক্লেনজার কোনটি, সেটা কিন্তু আপনাকে আগে বুঝতে হবে। কারণ ক্লেনজারের বিভিন্ন ফর্মুলেশন ও টাইপ রয়েছে। ক্লেনজিং রেগুলার স্কিন কেয়ারের অ্যাসেনশিয়াল একটি স্টেপ। তাই কখন বা কোন স্কিন টাইপে কোন ক্লেনজার ব্যবহার করা উচিত, সেটা জেনে বুঝে নেওয়াটা কিন্তু খুবই জরুরী। আজকের আর্টিকেলটি ক্লেনজারের রকমভেদ নিয়েই। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই, কীভাবে সঠিক ক্লেনজারটি বেছে নিবেন।
ক্লেনজারের রকমভেদ
বাজারে যেহেতু অনেক ধরনের ক্লেনজার রয়েছে এবং সেগুলোর কাজ, ফর্মুলা সবই কিন্তু একটা থেকে অন্যটা ভিন্ন। তাই ক্লেনজারের রকমভেদ সম্পর্কে যদি আমাদের জানা থাকে, তাহলে সহজেই আপনি বুঝতে পারবেন কোন প্রোডাক্টটি আপনার জন্য পারফেক্ট! এই বিষয়ে বেসিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো আজকে।
১. জেল ক্লেনজার
জেল ক্লেনজারগুলো দেখতে ক্লিয়ার বা ট্র্যান্সপারেন্ট ধরনের হয় এবং এর কনসিসটেন্সি জেল টাইপের হয়ে থাকে। এটি ওয়াটার বেইজড ও মাইল্ড ইনগ্রেডিয়েন্টস যেমন – ফ্লাওয়ার, ফ্রুট এক্সট্র্যাক্ট থেকে তৈরি হয়। বাইরে থেকে এসে স্কিনকে ডিপ ক্লিনিং ও রিফ্রেশিং ইফেক্ট দিতে বা মেকআপ রিমুভের পরেই জেল বেইজড ক্লেনজার ইউজ করতে পারবেন। চলুন জেনে নেই এর বেনিফিটস।
এই ক্লেনজারগুলো এক্সেস অয়েল, ডার্ট রিমুভ করে ফ্রেশ লুক দেয়
একনে কজিং ব্যাকটেরিয়া দূর করে
ক্লগড পোরস এর সমস্যা দূর করতে খুব ভালো কাজ করে
যাদের অয়েলি স্কিন এবং একনে প্রবলেম আছে, তারা এই ধরনের ক্লেনজার ব্যবহার করতে পারেন
স্কিনে ইনস্ট্যান্ট ফ্রেশনেশ নিয়ে আসে
২. ক্রিম ক্লেনজার
ক্রিম ক্লেনজার দেখতে একদম ক্রিমি টাইপের হয়ে থাকে। এই ধরনের ক্লেনজারগুলো স্কিনের জন্য বেশ মাইল্ড। অনেকেই থিক ক্রিমি টেক্সচারের ফেইস ওয়াশ বা ক্লেনজার দিয়ে ফেইস ম্যাসাজ করতে পছন্দ করেন। এছাড়াও মেকআপ তোলার সময় ডাবল ক্লেনজিং করতে অয়েল বেইজড ক্লেনজারের পর এই ক্রিম ক্লেনজার যে কেউ ব্যবহার করতে পারবেন। এর মেইন ফিচার ও বেনিফিটগুলো কী সেটা জেনে নিন।
ক্রিম ক্লেনজার জেন্টলি ক্লিন করে
স্কিনের ন্যাচারাল অয়েল রিমুভ করে না, তাই স্কিন থাকে সফট ও ময়েশ্চারাইজড
যাদের স্কিন নরমাল টু ড্রাই, তারা ক্রিম বেইজড ক্লেনজার ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে
৩. ফোম ক্লেনজার
ফোম ক্লেনজার বলা হয় জেল ও ক্রিম ক্লেনজারের সংমিশ্রণকে।