আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড কী?
এটি হচ্ছে কেমিক্যাল যৌগের একটি সংমিশ্রণ, যেখানে এই যৌগগুলো আসে মূলত বিভিন্ন রকম উদ্ভিদ ও প্রাণীজ উপাদান থেকে; যেমন দুধ, লেবুর রস, আঙুর ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি এজিং প্রোডাক্টস যেমন টোনার, সিরাম, ক্রিম, কেমিক্যাল পিল ইত্যাদিতে এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রেঞ্জে এই ইনগ্রেডিয়েন্টটি বেশ ব্যবহৃত হয়। গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড, সাইট্রিক অ্যাসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড এগুলো আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিডের কিছু পপুলার ফর্ম।
আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড কী
AHA-এর অ্যামেজিং স্কিন বেনিফিটস
১) স্কিন এক্সফোলিয়েশনে
আমাদের ত্বকে প্রতিনিয়ত ডেড সেলস জমা হয়। এই জমে যাওয়া ডেড সেলস এর কারণে ত্বক নিষ্প্রাণ দেখায়। আবার বয়স বাড়ার সাথে সাথে নতুন কোষ তৈরি হয়ে এই মৃত কোষগুলো রিমুভ হওয়ার যে প্রক্রিয়া সেটা স্লো হয়ে যায়। তাই স্কিনে দেখা দেয় ফাইন লাইনস, রিংকেলস ও ড্রাইনেস। আর এখানেই AHA তার ম্যাজিক দেখায়! এটি এক্সফোলিয়েশনে সাহায্য করে, যার ফলে ভেতর থেকে উজ্জ্বল নতুন স্কিন সেলস জেনারেট হয়।
২) স্কিন ব্রাইটেনিংয়ে
গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ডেড স্কিন সেলসের বন্ডিং ব্রেক ডাউন করে আর সাইট্রিক অ্যাসিড স্কিনটোন ব্রাইট করে। হেলদি গ্লো ফিরিয়ে আনতে এই উপাদানগুলো ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তাই বিভিন্ন স্কিন ব্রাইটেনিং প্রোডাক্টসে এই উপাদানগুলো দেখা যায়।
৩) কোলাজেন প্রোডাকশনে
কোলাজেন হচ্ছে একটি প্রোটিন রিচ ফাইবার। এটি স্কিনকে প্লাম্পি ও সফট রাখতে সাহায্য করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই ফাইবারগুলো ভাঙতে শুরু করে। এছাড়াও অধিক পরিমাণে সান এক্সপোজারও ত্বকের কোলাজেন নষ্ট করে দেয়। ফলে স্কিন লুজ হয়ে যায়, সব সময় ফেইস ডাল ও টায়ার্ড দেখায়। আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করতে হেল্প করে।
সফট স্কিন
৪) রিংকেলস প্রিভেনশনে
আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড ব্যবহারে ত্বকের উপরের লেয়ারের বলিরেখা অনেকাংশে কমে যায়। যদিও এটি ত্বকের ডিপ লেয়ারে পৌঁছে বলিরেখা বা ফাইন লাইনস রিমুভ করে না, তবে ত্বকের প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস প্রিভেন্ট করতে বেশ হেল্পফুল।