অফবিট

চোখের যত্নে আই ক্রিম কেন ও কীভাবে ইউজ করবেন?

আই ক্রিম কী?

অনেকেই ভাবতে পারেন, ‘স্কিন টাইপ অনুযায়ী ফেইসে তো লাগাচ্ছি, তাহলে আলাদা করে কেন আই ক্রিম ইউজ করতে হবে?’ বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের আশেপাশের এরিয়াতেই এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। আর যত্নের অভাবে দেখা দেয় রিংকেল, ফাইন লাইন, পাফিনেস, ডার্ক সার্কেল। ফেইসে যে ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম ইউজ করা হয় সেটি আই এরিয়ার প্রবলেম আইডেন্টিফাই করে বানানো হয় না। আই ক্রিম এক ধরনের ময়েশ্চারাইজার, যা বানানো হয় স্পেসিফিক আই এরিয়ার জন্যই। চোখের চারপাশের এরিয়াকে বলা হয় পেরিঅরবিটাল এরিয়া। এই এরিয়াটুকু ফেইসের অন্যান্য অংশের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকে। তাই এর দরকার বিশেষ যত্ন। আর এই যত্ন নিতে কার্যকর আই ক্রিম। এটি ব্যবহারে চোখের চারপাশ নারিশড থাকে। ফুটে ওঠে চোখের সৌন্দর্য।

চোখের যত্নে আই ক্রিম

চোখের যত্নে আই ক্রিম ব্যবহার করবেন যে কারণে 

১) চোখের চারপাশের  লেয়ার পাতলা হওয়ার কারণে এই এরিয়া বেশ সেনসিটিভ হয়। তাই সাধারণ ময়েশ্চারাইজার দিয়ে চোখের এরিয়ার পুরোপুরি যত্ন নেয়া হয় না। অন্যদিকে আই ক্রিমের উপাদানগুলো অন্যান্য ময়েশ্চারাইজারের তুলনায় একটু বেশি কোমল হয়ে থাকে, যা চোখের চারপাশের নরম ত্বককে কোনোরকম ক্ষতি করা ছাড়াই প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা দেয়।

২) ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের চোখের ওপর চাপ পড়তেই থাকে। আমরা যখন কথা বলি, হাসি, ফেইসে কোনো ধরনের এক্সপ্রেশন দেই, তখনও কিন্তু আমাদের চোখের আশেপাশের এরিয়ার মাসলগুলো মুভ হয়। রেগুলার এই মুভমেন্ট বা স্ট্রেসের কারণে চোখের এই এরিয়াতে ড্রাইনেস দেখা দেয় এবং ইলাস্টিসিটির অভাব হতে পারে।  পড়ার জন্য এটি অন্যতম একটি কারণ। আর এই প্রবলেম কমাতে হেল্প করে আই ক্রিম।

৩) সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে আমাদের ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা হারায়। একই ঘটনা ঘটে চোখের আশেপাশের এরিয়ার ক্ষেত্রেও। চোখের নিচে রিংকেল, ফাইন লাইন ক্রিয়েট হয় এই সান ড্যামেজ থেকেই। এছাড়া ধীরে ধীরে কমে যায় কোলাজেন প্রোডাকশন। কোলাজেন স্কিনের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে হেল্প করে। আই ক্রিমে থাকা নির্দিষ্ট কিছু উপাদান এই কোলাজেন বুস্ট আপ করতে হেল্প করে।

আই ক্রিমে যে উপাদানগুলো থাকা জরুরি

চোখের যত্নে আই ক্রিম জরুরি এটা তো বলছি, কিন্তু কোন উপাদানগুলোর কারণে এটি হেল্পফুল? চলুন জেনে নেই-

১) সিরামাইডঃ স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখে।

২) নিয়াসিনামাইডঃ এই উপাদানটি কাজ করে স্কিনের ব্রাইটনেস বাড়াতে। সেই সাথে দেয় হাইড্রেটিং ইফেক্ট। স্কিনের এক্সেস সিবামও রিডিউস করে নিয়াসিনামাইড।

৩) হায়ালুরোনিক অ্যাসিডঃ স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখে, সেই সাথে স্কিনের ইলাস্টিসিটি বাড়ায়।

৪) আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিডঃ স্কিনের হাইপারপিগমেন্টেশন কমিয়ে আনে এবং স্কিন ইভেন টোন করতে হেল্প করে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.