কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর কী?
একদম সহজ ভাষায় কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর হলো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি একটা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট। তবে অ্যাসিড শুনেই আবার ভয় পেয়ে যাবেন না কিন্তু! কারণ কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটরে যে অ্যাসিড থাকে সেটা স্কিনের জন্যে মোটেও হার্মফুল নয়। স্কিনকেয়ারে এর আছে অ্যামেজিং বেনিফিটস। এই এক্সফোলিয়েটরে থাকা অ্যাসিডের মূল কাজ হলো জেন্টলি আমাদের স্কিন থেকে ডেড সেলস রিমুভ করা এবং পোরস আনক্লগ করে স্কিনকে হেলদি ও রেডিয়েন্ট রাখা।
অ্যান্টি এজিং স্কিনকেয়ার রুটিনে এই প্রোডাক্টটি ইনক্লুড করতে বলা হয়। কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটরে যে অ্যাসিডগুলো থাকে সেগুলোকে কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েন্ট বলা হয়। সবচেয়ে জনপ্রিয় কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েন্টগুলো হচ্ছে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (AHA) ও বেটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (BHA)। চলুন এগুলো সম্পর্কে আরেকটু ডিটেইলসে জেনে আসি।
আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (AHA)
আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিডের বৈশিষ্ট্য হলো এটা ওয়াটার সল্যুবল এবং স্কিনের টপ লেয়ারে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করে। এই অ্যাসিড হাইপার পিগমেন্টেশন বা সানবার্ন কমিয়ে স্কিন ইভেন টোনড করতে হেল্প করে। পাশাপাশি এনলার্জড পোরগুলো মিনিমাইজ করতে, ফাইন লাইনস বা রিংকেলস কমাতেও বেশ ভালো কাজ করে। আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিডের পপুলার কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড, ম্যান্ডেলিক অ্যাসিড ইত্যাদি।
বেটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (BHA)
বেটা হাইড্রক্সি অ্যাসিডের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটা ফ্যাট সল্যুবল। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ফ্যাট সল্যুবল হওয়ায় এটা খুব ইজিলি আমাদের স্কিনের ডিপ লেয়ারে যেতে পারে। এই অ্যাসিড স্কিনের ক্লগড পোরস, একনে, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস ইত্যাদি কমাতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড হলো বেটা হাইড্রক্সি অ্যাসিডের সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ।
কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর কীভাবে কাজ করে?
আমাদের স্কিনের সেলগুলো প্রায় প্রতিমাসেই ন্যাচারালি রিজেনারেট হয়ে থাকে। তখন ডেডসেলগুলো ঝরে নতুন স্কিন সেলস দেখা যায়। কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন স্কিন ক্রাইসিস, আবহাওয়া, সান এক্সপোজার, এজিং অথবা স্কিন টাইপ না বুঝে প্রোডাক্ট ইউজ করার কারণে ডেড সেলগুলো পুরোপুরি রিমুভ হয় না! তখনই স্কিনে পোর ক্লগিং, ব্রেকআউট বা অতিরিক্ত ড্রাইনেসের মতো প্রবলেমগুলো দেখা দেয়। সেই সময় স্কিনে নতুন সেলস জেনারেট হতে পারে না এবং স্কিনের ন্যাচারাল গ্লো কমে যেতে শুরু করে।
এই প্রবলেমগুলোর ইজি ও সিম্পল সল্যুশন হিসাবে কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর সাজেস্ট করা হয়৷ অ্যাপ্লাই করার পর এই এক্সফোলিয়েটর আমাদের স্কিনে জমে থাকা ডেডসেলসের বন্ড ভেঙে ফেলে। এর ফলে ধীরে ধীরে স্কিনের ডেডসেলস রিমুভ হয়ে যেতে শুরু করে এবং ক্লগ হয়ে থাকা পোরগুলো ওপেন হয়ে যায়। তখনই স্কিন টেক্সচার বেটার হতে শুরু করে এবং স্কিনে হেলদি গ্লো দেখা দেয়। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর স্কিনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ!