চুল নিয়ে বর্তমানে নানা সমস্যায় আমরা প্রায় সকলেই ভুগি। নানা ধরনের শ্যাম্পু ও হারবাল জিনিস ব্যবহার করেও সমস্যার সমাধান হয় না। কিন্তু আমাদের হাতে আছে আমাদের আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের ‘রিঠা’ ফল। এবার সেই রিঠার দিকে আমাদের তাকাতে হবে। প্রাচীনকাল থেকেই এই গোলাকার ফলের ব্যবহার হয়ে আসছে। বাইরের ত্বক লালচে বাদামী রঙের এই ফলটি চুলের যত্নের জন্য শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। যা চুলের সবরকম সমস্যার সমাধান হিসেবে অত্যন্ত ভাল উপাদান। রিঠা ঘরোয়া উপায়ে কন্ডিশনার, শ্যাম্পু ও হেয়ার মাস্ক হিসেবে তৈরি করা সম্ভব।
রিঠার উপকারিতা –
১) ঘন চুলের জন্য, চুল পড়া ও খুশকি নিয়ন্ত্রণের জন্য রিঠার ব্যবহার আদিকাল থেকে।
২) রিঠা চুল ঘন ও বাউন্সি করে।
৩) চুল ও মাথার ত্বককে পরিস্কার করে ।
৪) চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত সুন্দর করে তোলে।
৫) রিঠার নিয়মিত ব্যবহারে চুলকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে তোলে।
৬) রিঠা হল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার ও ক্লিনজার।
রিঠার ব্যবহার –
৮/৯ তা রিঠা ও কয়েক টুকরো আমলা সারা রাত জলে ভিজিয়ে সকালে হাত দিয়ে রিঠাকে ঘসলেই কালো বড়ো বীজ বেরিয়ে আসবে। সেই বীজ ফেলে দিয়ে আবার ভালো করে ঘষে রিটার ছাবা ফেলে দিয়ে সোজাসুজি ওই জলে মাথা ও চুল কিছুক্ষণ ভিজিয়ে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে পারেন। তবে আরো ভালো প্রক্রিয়া হলো ওই জল কিছুটা ফুটিয়ে সেই জল ঠান্ডা করে কথা ছেঁকে নিয়ে মাথা ও গায়ে ভালো করে ঘষে পরিষ্কার জলে স্নান করে নিন।