নাগরিক মহল বলছেন, আর কত যে দেখতে হবে। রাজ্যের স্কুল খুলেছে ২ জানুয়ারী। আর স্কুল প্রাঙ্গনে তৃণমূলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে ২ থেকে ৪ জানুয়ারী পর্যন্ত। ৫ জানুয়ারি থেকে খুলবে স্কুল। পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ সদস্য নিতাই সুন্দর মুখোপাধ্যায়ের সাফাই, স্কুলে এখন পড়ুয়াদের বই বিলি চলছে। তাই স্কুল কমিটির অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠান চলছে। বর্ধমানের কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের অগ্রদ্বীপের মাখালতোড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছবি এটা। স্কুলে সামনে যে গেট বানানো হয়েছে, তা থেকেই বোঝা গেল, তৃনমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন চলছে। পড়াশোনা নেই, বন্ধ মিড ডে মিলও। একদিন নয়, তিনদিনের অনুষ্ঠান। ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি চলবে এই অনুষ্ঠান। নতুন শিক্ষাবর্ষে তাই বছরের প্রথম দিনই বই দিয়ে ছুটি দিয়ে দেওয়া হল পড়ুয়াদের। এমন ঘটনার পরে কিছুটা বোঝা যায় যে কেন মানুষ তার সন্তানদের প্রাইভের স্কুলে পাঠাতে চায়।
এই প্রসঙ্গে কাটোয়া মহকুমা শাসক অহিংসা জৈন বলেন, “এমনটা করা যায় না। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।” বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। অথচ স্কুল খোলা অবস্থায় স্কুলের বাউন্ডারির ভিতরে তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের ছবি দিয়ে বড় গেট বানিয়ে তারস্বরে চলছে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। গোটা স্কুল চত্বর জুড়ে লাগানো হয়েছে তৃণমূলের পতাকা। এই ঘটনা দেখে স্কুল পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, অনুষ্ঠানের জন্য আজ মিড ডে মিল হয়নি। এর পরেও নবান্ন থেকে শোনা যায় বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা দূরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে।