অনেকেই এই সিচুয়েশন ফেইস করেন যে নতুন কোনো প্রোডাক্ট ট্রাই করার কিছুদিন পরেই ফেইসে অনেকগুলো একনে দেখা দেয়। এখন আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে প্রোডাক্টটি হয়তো স্যুট করেনি। কিন্তু হতে পারে এটি একটি পজিটিভ সাইড। কীভাবে? এটা বুঝতে হলে আগে জানতে হবে পার্জিং আর ব্রেকআউট নিয়ে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।
পার্জিং vs ব্রেকআউট
যখন কোনো নতুন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ইউজ করার পর স্কিনে একনে হয় কিন্তু ধীরে ধীরে সেটা কমে স্কিন বেটার কন্ডিশনে ব্যাক করে, সেটাকে বলে। পার্জিং হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এক্ষেত্রে সেই প্রোডাক্টটি কন্টিনিউ করা যেতে পারে। কারণ কিছুদিনের মধ্যেই বাম্পস কমে যেয়ে আপনার স্কিন হেলদি হয়ে উঠবে। রেগুলার ব্রেকআউট হচ্ছে যখন কোনো প্রোডাক্ট ইউজ করার পর ফেইসের এমন এরিয়াতে একনে দেখা দেয় যেখানে আগে কখনও একনে হয়নি। ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেও এই একনে না কমলে ধরে নিতে হবে সেটা ব্রেকআউট। মানে আপনার স্কিনে সেটা স্যুট করছে না। এরপরও সেই প্রোডাক্টটি ইউজ করতে থাকলে স্কিন আরও ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।
স্কিনকেয়ারে নতুন প্রোডাক্ট অ্যাড করার পর কেন পার্জিং হয়?
পার্জিং আর ব্রেকআউট এর মধ্যে ডিফারেন্স বুঝতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে এটা কেন হয়! স্কিনে ডেড সেলস প্রোপারলি রিমুভ না হলে পোরস ক্লগ হয়ে যে হয় তাকে বলে মাইক্রো কমেডন বা আর্লি একনে। মাইক্রো কমেডন স্কিন সারফেসে নরমালি দেখা যায় না। যদি কোনো প্রোডাক্ট স্কিনের সেলস টার্নওভার বাড়িয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে মাইক্রো কমেডনগুলো ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস অথবা পিম্পলসে রূপান্তরিত হয়ে স্কিন সারফেসে চলে আসে। ফলে আস্তে আস্তে পোরস ক্লিয়ার হয়ে স্কিন কোয়ালিটি ইম্প্রুভ হয়। এই মাইক্রো কমেডনগুলো আগে থেকেই স্কিনে থাকে। প্রোডাক্ট ইউজ করার ফলে হয় না। তাই বলা যায় পার্জিং একটা পজিটিভ সাইড।
কীভাবে বুঝবো প্রোডাক্ট স্যুট করছে না?
যখন কোনো প্রোডাক্ট নতুন করে ক্লগ করে বা অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন থেকে একনে বাড়িয়ে দেয়, সেটা হচ্ছে ব্রেকআউট। পার্জিং হলে নরমালি এক মাসের ভেতর স্কিন ক্লিয়ার হয়ে যায়। কিন্তু এর ভেতরেও স্কিন যদি ঠিক না হয় তারমানে প্রোডাক্টটি থেকে আপনার ব্রেকআউট হচ্ছে। তাহলে, আমরা কীভাবে বুঝবো আমাদের স্কিনে পার্জিং হচ্ছে নাকি ব্রেকআউট? কিছুটা ট্রিকি ব্যাপার, তবে কয়েকটা গাইডলাইন ফলো করলে ধারণা পাওয়া যাবে। চলুন জেনে নেই এখনই।
অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট থেকে হতে পারে পার্জিং
যেই প্রোডাক্টগুলোতে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট আছে, যেমন- হাইড্রক্সি অ্যাসিড, রেটিনল; এই ধরনের উপাদানগুলো স্কিনের সেল টার্নওভার বাড়িয়ে দেয় এবং তখনই পার্জিং হয়। স্কিন কনসার্ন না বুঝেই অনেকে প্রোডাক্ট ইউজ করা শুরু করেন, এতে স্কিন ড্যামেজ হতে পারে। ধরুন, একনে প্রন স্কিনে যেই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়, সেটি কিন্তু ডিহাইড্রেটেড স্কিনে স্যুট করবে না। তাই আগে খুঁজে বের করুন আপনার স্কিনের প্রবলেমস, তারপর সেই অনুযায়ী প্রোডাক্ট সিলেক্ট করুন।