অফবিট

সিরাম ব্যবহার করেও স্কিন প্রবলেমের সল্যুশন হচ্ছে না?

সিরাম ব্যবহার করেও উপকার পাচ্ছেন না?

বয়স ২০+ হলে স্কিনকেয়ার রুটিনে অ্যাড করতে পারবেন। কিন্তু সেই সাথে বেসিক স্কিনকেয়ার রুটিন মেনটেইন করা খুবই জরুরি। সিরাম অ্যাপ্লাই করলে দিনের বেলাতে সানস্ক্রিন স্কিপ করা যাবে না। সিরাম ব্যবহার করেও স্কিন প্রবলেমের সল্যুশন হচ্ছে না কেন, সেটা জানতে হলে পড়তে হবে আজকের ফিচার।

কনফিউসড

১. সঠিকভাবে প্রোডাক্টস লেয়ারিং করা

আমরা অনেকেই স্কিনকেয়ারের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করি। তাড়াতাড়ি কোনোমতে অ্যাপ্লাই করতে পারলেই হলো! কিন্তু সব কিছুর তো একটা নিয়ম আছে। স্কিনকেয়ারের ক্ষেত্রে স্টেপগুলো ঠিকভাবে ফলো না করলে ইনগ্রেডিয়েন্টস ভালোভাবে স্কিনে পেনিট্রেট হয় না। সবসময় হালকা বা থিন > ভারি বা থিক, এই ক্রম বা কনসেনট্রেশন অনুযায়ী প্রোডাক্ট ইউজ করতে হয়। কারণ যেটা লাইট সেটা যত তাড়াতাড়ি ফেইসে অ্যাবসর্ব হবে, থিক কনসেনট্রেশন হলে সেভাবে হবে না। তাই সিরাম ব্যবহারের আগে টোনার এবং পরে  ব্যবহার করা উচিত। ক্লেনজার > টোনার > সিরাম > ময়েশ্চারাইজার- এই ক্রম ফলো করতে হবে।

২. সঠিক অ্যামাউন্ট ও সঠিক টাইমে অ্যাপ্লাই করা

আমাদের অনেকের মাঝে একটা ভুল ধারণা আছে যে বেশি প্রোডাক্ট লাগালে হয়তো স্কিন কন্ডিশন তাড়াতাড়ি ইম্প্রুভ হয়, কিন্তু সিরাম এর জন্য এটি সম্পূর্ণ বিপরীত। যেহেতু হাইলি কনসেন্ট্রেটেড তাই সামান্য পরিমাণে অ্যাপ্লাই করলেই হয়ে যায়। আর উচিত হলো দিনে দুইবার অর্থাৎ সকালে ও রাতে টাইপ বুঝে সিরাম ব্যবহার করা। রেটিনল সিরাম যেমন রাতে অ্যাপ্লাই করতে বলা হয়, দিনের বেলায় আপনি বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ইউজ করতে পারেন। কিন্তু টাইম মেনটেইন করা মাস্ট। ইচ্ছেমতো কোনোদিন দিলেন তাও বেশি পরিমাণে, আবার কয়েকদিন দিলেন না; এতে কিন্তু কোনো বেনিফিট পাবেন না।

৩. টাইম গ্যাপ দেওয়া ও প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া

আগেই বলেছি যত তাড়াহুড়ো সব আমরা স্কিনকেয়ারের সময়ই করতে চাই। একটি প্রোডাক্ট দিয়েই সাথে সাথে আরেকটি লাগানো উচিত না। সেটা ভালোভাবে স্কিনে অ্যাবসর্ব হতে দিন, তারপর আরেকটি প্রোডাক্ট অ্যাপ্লাই করুন। না হলে রিঅ্যাকশন হতেও পারে। অনেকেই যে বলে সিরাম দিলেই স্কিন জ্বালাপোড়া করে, এটাও একটা কারণ। সবই তো কেমিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট, তাই ও টাইম গ্যাপিং খুব অ্যাসেনশিয়াল।

স্কিনকেয়ার

৪. স্কিনের টাইপ বুঝে সিরাম বেছে নেওয়া

বর্তমানে এই সিচুয়েশনটা খুবই কমন যে কোনো একটা প্রোডাক্টের হাইপ উঠলেই সেটার পিছনে সবাই ছোটাছুটি করে! ধরা যাক, ভিটামিন সি সিরামে স্কিন ব্রাইট হয়, সবাই দিচ্ছে খুব ভালো কথা! আমাকেও দিতে হবে এমন একটা মনোভাব!! কিন্তু আগে তো বুঝতে হবে যে আপনার স্কিন কেমন, আপনার স্কিনে ভিটামিন সি স্যুট করবে কিনা। অনেকেরই কিন্তু ভিটামিন সি স্যুট করে না। আপনার স্কিন যদি ড্রাই ও ডিহাইড্রেটেড হয়, তাহলে তো আপনার দরকার হায়ালুরোনিক অ্যাসিড বেইজড প্রোডাক্ট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.