Uncategorized

মাল্টি মাস্কিং | স্কিনকেয়ার ট্রেন্ডে এই মেথডটি কেন এত জনপ্রিয়?

অনেক সময় এমন হয় যে হঠাৎ করেই আমাদের স্কিনের একেকটা এরিয়াতে ডিফারেন্ট টাইপের প্রবলেম দেখা যায়। যেমন- গালের এরিয়াতে একনে, নাকে ব্ল্যাকহেডস আবার কপাল ও চিন এরিয়াতে অয়েলিনেস! বলুন তো, এমন হলে তখন কি একটা স্কিন প্রবলেমের জন্য ফর্মুলেটেড ফেইস মাস্ক পুরো ফেইসে অ্যাপ্লাই করবেন? কখনোই না! বরং এক্ষেত্রে আপনারা ট্রাই করতে পারেন মাল্টি মাস্কিং মেথড, যা এখনকার ভাইরাল  ট্রেন্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম। আজ আমরা জানবো মাল্টি মাস্কিং কী এবং কীভাবে এই মাস্কিং করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

মাল্টি মাস্কিং কী?

যারা মাল্টি মাস্কিং সম্পর্কে জানেন না, তাদের জন্য লেখার শুরুতেই জানিয়ে দিচ্ছি এটা দিয়ে ঠিক কী বোঝানো হয়। খুব সহজ করে বলতে গেলে মাল্টি মাস্কিং হলো ফেইসের একেকটা এরিয়ার প্রবলেম বুঝে সে অনুযায়ী সেসব এরিয়াতে আলাদা আলাদা একই সময়ে অ্যাপ্লাই করা।

মাল্টি মাস্কিং

ব্যাপারটা আরেকটু বুঝিয়ে বলি। ধরুন, আপনার ফেইসের কপালের অংশে একনে প্রবলেম রয়েছে। আবার আপনি আপনার নাক ও চিন এরিয়াতে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যায় ভুগছেন। এখন এই দু’টো প্রবলেম একসাথে সল্ভ করার জন্য আপনি শুধু কপালের অংশে ব্রণের সমস্যা কমাতে ক্যাপাবল এমন একটা ফেইস মাস্ক অ্যাপ্লাই করবেন। একইসাথে আপনার নাক ও চিন এরিয়াতে ব্ল্যাকহেডস রিমুভ করবে, এমন ফেইসমাস্ক অ্যাপ্লাই করবেন। মেইনলি এভাবেই মাল্টি মাস্কিং করতে হয়।

এই মেথড কেন এত জনপ্রিয়?  

স্কিনকেয়ারের প্র‍্যাকটিসগুলোর মধ্যে এটি ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেন জানেন? কারণ এই মাস্কিং মেথড ফলো করলে স্কিনের বিভিন্ন রকম প্রবলেম একসাথে সল্ভ করা পসিবল হয়৷ এতে করে যেমন সময় বাঁচে, তেমনিভাবে কিন্তু অল্প ইফোর্টে স্কিন ভালো রাখাও সম্ভব। তাই বলা যেতে পারে, আমাদের বিজি লাইফে স্কিনের বিভিন্ন প্রবলেমস দূর করে হেলদি ও গ্লোয়িং স্কিন পাওয়ার ইজি সল্যুশন হচ্ছে এই মাল্টি মাস্কিং।

মাল্টি মাস্কিং কীভাবে করবেন?

এখন নিশ্চয়ই সবাই জানতে চাইবেন এর প্রসেস সম্পর্কে। স্কিনের স্পেসিফিক প্রবলেমের জন্য আলাদা আলাদা মাস্ক একই সাথে অ্যাপ্লাই করতে হবে। চলুন আর দেরি না করে জেনে আসা যাক মাল্টি মাস্কিং মেথডের স্টেপগুলো সম্পর্কে।

মাল্টি মাস্কিং

১) আগে বুঝে নিন আপনার স্কিন টাইপ ও কনসার্ন

শুরুতেই নিজের ও কনসার্ন আইডেন্টিফাই করে সে অনুযায়ী ফেইস মাস্ক বাছাই করে ফেলুন। কেননা যে ফেইস মাস্ক ড্রাই স্কিনের জন্য কাজ করে, সেটা কিন্তু কখনোই অয়েলি স্কিনের জন্য কাজ করবে না বা এতে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন না।

আবার যে মাস্ক ব্যবহার করে আপনি স্কিনের ওপেন পোরস এর ভিজিবিলিটি কমাতে পারবেন, সেটা দিয়ে কিন্তু আবার হাইপার পিগমেন্টেশনের প্রবলেম সল্ভ করা পসিবল হবে না। এ কারণেই আগে নিজের স্কিন টাইপ কী সেটা বুঝুন। তারপর স্কিনের কোন এরিয়াতে কী প্রবলেম আছে সেটা আইডেন্টিফাই করে সেই প্রবলেমগুলোকে টার্গেট করে যে ফেইস  মার্কেটে অ্যাভেইলেবল রয়েছে, সেগুলো পারচেজ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.