অফবিট

হাইড্রেটেড স্কিন পাওয়ার জন্য কেমন হওয়া উচিত স্কিন কেয়ার রুটিন?

হাইড্রেটেড স্কিন পাওয়ার জন্য স্কিন কেয়ার রুটিন কীভাবে মেনটেইন করবেন?

ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুন

 

স্কিন কেয়ার রুটিনে যতগুলো স্টেপ আছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেপ হচ্ছে ত্বকের ধরন বুঝে  অ্যাপ্লাই করা। স্কিন টাইপ যেমনই হোক না কেন, এই স্টেপটি ফলো করা মাস্ট। আমাদের অনেকেরই ধারণা গরমের সময় স্কিনে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। এ ধারণাটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। কারণ সামার হোক বা উইন্টার, সব সিজনেই ময়েশ্চারাইজার মাস্ট অ্যাপ্লাই করতে হবে। ড্রাই, কম্বিনেশন বা অয়েলি সব ধরনের স্কিনেই ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন আছে। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেয়। সেই সাথে স্কিনের আপার লেয়ারে একটি আস্তরণ তৈরি করে ওয়াটার লসকে কন্ট্রোল করে। স্কিন হলে ক্রিম বেইজড থিক ময়েশ্চারাইজার, অয়েলি স্কিন হলে ওয়াটার বেইজড লাইটওয়েট ময়েশ্চারাইজার এবং কম্বিনেশন স্কিন হলে জেল ও ক্রিম বেইজড ময়েশ্চারাইজার ইউজ করুন।

 

 

 

 

ক্লেনজিং এর জন্য সঠিক ক্লেনজার চুজ করুন

 

আমরা অনেকেই আমাদের স্কিন টাইপ জানি না। তাই না বুঝেই ক্লেনজার কিনে ফেলি। আবার অনেকেই ভাবেন স্কিন ক্লিন রাখার জন্য বারবার দিয়ে ফেইস ওয়াশ করতে হবে। অথচ বারবার ক্লেনজার ব্যবহারের কারণে স্কিন হাইড্রেশন হারিয়ে ফেলতে পারে। যার কারণে ত্বক হয়ে পড়ে ডিহাইড্রেটেড। তাই ঘনঘন ইউজ না করে ডে অ্যান্ড নাইট স্কিন কেয়ার রুটিন অনুযায়ী ক্লেনজার ইউজ করুন। অয়েলি টু কম্বিনেশন স্কিনের জন্য ফোম ক্লেনজার, অল টাইপ স্কিনের জন্য জেল ও অয়েল বেইজড ক্লেনজার, নরমাল টু ড্রাই স্কিনের জন্য ক্রিম বেইজড ক্লেনজার চুজ করুন।

 

দিনে বাইরে গেলে ফেইস মিস্ট অ্যাপ্লাই করুন

 

কাজের জন্য আমাদের অনেককেই সারাদিন বাইরে থাকতে হয়। তাই ময়েশ্চারাইজার রি-অ্যাপ্লাই করার সুযোগ খুব কম থাকে। আবার এসি অফিসে দীর্ঘ সময় বসে থাকার জন্যও স্কিন দ্রুত হাইড্রেশন হারায়। এসব কারণে স্কিন অল্প সময়েই ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই স্কিনে হাইড্রেশন ফিরিয়ে আনতে মিস্ট বা রোজ ওয়াটার ইউজ করতে পারেন। স্কিন ডিহাইড্রেটেড লাগলে যেন ইনস্ট্যান্ট হাইড্রেশন পাওয়া যায়, সেজন্য ব্যাগে সব সময় একটি ফেইস মিস্ট বা রোজ ওয়াটার ক্যারি করুন।

 

সিরাম অ্যাপ্লাই করুন

 

প্রতিদিনের ব্যস্ততা, বাইরের দূষণ, সূর্যরশ্মি সবকিছুই আমাদের ত্বকে নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট ফেলে। আর এসব কারণে স্কিনে প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস দেখা দেয়, স্কিন রাফ ও ড্রাই হয়ে যায়, স্কিনের হাইড্রেশন ব্যালেন্সেও ব্যাঘাত ঘটে। হাইড্রেটেড স্কিন পাওয়ার জন্য স্কিন কেয়ার রুটিনে অ্যাড করতে পারেন। ফেইস সিরামে হায়ালুরনিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, গ্লাইকোলিক অ্যাসিডের মতো বেশ কয়েকটি অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকে যেগুলো স্কিনের স্পেসিফিক প্রবলেমকে টার্গেট করে সল্যুশন দেয়। স্কিনের ডালনেস ও ড্রাইনেস কমিয়ে, ময়েশ্চার ধরে রাখার জন্য সিরাম বেশ হেল্পফুল। স্কিন কেয়ার রুটিনে সিরাম অ্যাড করলে সকালে বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই অ্যাপ্লাই করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.