অনেকেই রয়েছেন যারা ফেইস অয়েল ও সিরামের ডিফারেন্স না জেনে দু’টাকে একই প্রোডাক্ট মনে করেন। তাদের জন্য আজকের ফিচারে জানাবো ফেইস অয়েল আর সিরাম কীভাবে একটা আরেকটার থেকে আলাদা এবং কখন কোনটা ইউজ করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
ফেইস অয়েল আর সিরাম এর মধ্যে পার্থক্য কী?
দু’টাই লিকুইড স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট হলেও এগুলোর ফর্মুলা কিন্তু একদমই আলাদা। প্রথমেই আসি ফেইস অয়েলে৷ ফেইস অয়েল মূলত একটা অয়েল বেইজড প্রোডাক্ট। এটার কনসিসটেন্সি একটু থিক হয়ে থাকে এবং এই কারণে স্কিনে অ্যাবজর্ব হতে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় লাগে। সাধারণত ময়েশ্চারাইজারের পরিবর্তে কিংবা ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করার পর ফেইস অয়েল অ্যাপ্লাই করতে সাজেস্ট করা হয়।
ফেইস অয়েল আর সিরাম
অন্যদিকে ফেইস সিরাম ওয়াটার বেইজড হওয়ায় এটার কনসিসটেন্সি অনেক লাইট হয়। তাই আপনারা খেয়াল করে দেখবেন সিরাম অ্যাপ্লাই করার পর সেটা আপনার স্কিনে খুব তাড়াতাড়ি অ্যাবজর্ব হয়ে যাচ্ছে। স্কিনকেয়ার রুটিনে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাইয়ের আগে সিরাম অ্যাপ্লাই করতে হয়৷
উপাদানেও আছে পার্থক্য
ফেইস অয়েল ও সিরামের আরেকটা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য এগুলোর উপাদান। ফেইস অয়েলের মূল উপাদান হলো টি ট্রি অয়েল, আমন্ড অয়েল, রোজহিপ অয়েল, জোজোবা অয়েল ইত্যাদি। এগুলোতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের স্কিনের সারফেসে এক ধরনের ব্যারিয়ার তৈরি করে। এই ব্যারিয়ারের কারণেই মূলত স্কিন ময়েশ্চারাইজড থাকে। অর্থাৎ ফেইস অয়েলের কাজ আমাদের স্কিন ময়েশ্চারাইজড রেখে স্কিন ব্যারিয়ারের ড্যামেজ যেন রিপেয়ার হয় তা নিশ্চিত করা। এজন্যে ফেইস অয়েলে সেভাবে কোনো অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট ইউজ করা হয় না।
আর ফেসিয়াল সিরামের মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের স্কিনের বিভিন্ন প্রবলেম, যেমন- এজিং সাইনস, ক্লোজড কমেডোনস, একনে, হাইপারপিগমেন্টেশন ইত্যাদি দূর করা। তাই সিরামে আমরা বিভিন্ন অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট, যেমনঃ নিয়াসিনামাইড, রেটিনল, ল্যাকটিক অ্যাসিড ইত্যাদির উপস্থিতি দেখতে পাই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিরামে এই ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো এমন পরিমাণে থাকে, যাতে করে সেগুলো আমাদের বিভিন্ন স্কিন কনসার্ন দূর করতে সহায়তা করতে পারে। আশা করি এখন আপনারা ফেইস অয়েল আর সিরাম এর ডিফারেন্সগুলো খুব ভালোমতো বুঝতে পেরেছেন।
ফেইস অয়েল
সিরাম
অয়েল বেইজড
ওয়াটার বেইজড
থিক, ইমোলিয়েন্ট কনসিসটেন্সি
থিন, লাইট কনসিসটেন্সি
অ্যাবসর্ব হতে সময় নেয়
দ্রুত স্কিনে অ্যাবসর্ব হয়ে যায়
ড্রাই স্কিনকে সফট ও ময়েশ্চারাইজড রাখে
দাগছোপ, সানট্যান, পিগমেন্টেশন কমায়
ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাইয়ের পর ইউজ করতে হয়
ময়েশ্চা
রাইজার অ্যাপ্লাইয়ের আগে ইউজ করতে হয়