ফেইস সিরাম কী?
সবকিছুর আগে চলুন জেনে নিই সিরাম আসলে কী? আমাদের উপমহাদেশের বেসিক স্কিনকেয়ার রুটিনে আমরা মোটামুটি ফেইস ওয়াশ, ময়েশ্চারাইজার আর সানস্ক্রিন নিয়েই বেশি কথা বলি। তবে যত দিন যাচ্ছে, পরিবেশ দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়াসহ হাজারটা কারণে আমাদের স্কিন প্রবলেমও বাড়ছে। তাই এখন শুধু আর বেসিক স্কিনকেয়ার আমাদের ত্বককে কোমল, মোলায়েম আর তারুণ্যদীপ্ত রাখতে যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্নের।
প্রবলেম টার্গেট করে ত্বকের জন্য সিরাম সিলেকশন
ফেইস সিরাম মূলত এমন একটি ফর্মুলেশন যেখানে একটি অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকে। অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট আমাদের ত্বকে কোনো ব্যারিয়ার ছাড়াই প্রবেশ করে এবং নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে পারে। যেমন- একনে, পিগমেন্টেশন, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি। সিরাম ময়েশ্চারাইজারের চেয়ে ঘনত্বে কিছুটা হালকা ও তরল হয়ে থাকে। তাই সাধারণত স্কিনকেয়ারের স্টেপস হিসেবে ময়েশ্চারাইজারের আগেই আমরা সিরাম অন্তর্ভুক্ত করি। আগেই বলেছিলাম সিরামে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকে। সেগুলো হচ্ছে-
নিয়াসিনামাইড
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড
অ্যাজিলিক অ্যাসিড
অ্যাসকরবিক অ্যাসিড
হায়ালুরোনিক অ্যাসিড
আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (AHA)
বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (BHA)
রেটিনল
সিরামে কী কী অ্যাকটিভ উপাদান থাকে সেটা তো জানা হলো। কিন্তু কখন থেকে সিরাম ব্যবহার করা উচিত? সাধারণত আমাদের ত্বক তার স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য হারাতে শুরু করে ত্রিশের কোঠায় যেয়ে, তাই সাধারণত ডার্মাটোলজিস্টরা এই সময়ে সিরাম ব্যবহার করতে বলেন। তবে আপনার স্কিনের প্রয়োজন অনুযায়ী চাইলে ২০ বছর বয়সের পর থেকেও সিরাম ব্যবহার শুরু করা যায়।
কী কী ধরনের ফেইস সিরাম আছে?
সিরামের আদর্শপাঠ তো জানা হলো, এবার চলুন জানা যাক বাজারে এখন কী কী ধরনের সিরাম আছে। মোটামুটি ২০০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকার সিরাম এখন বাজারে পাওয়া যায়। আর ই-কমার্স সাইটগুলোর বদৌলতে এখন অথেনটিক সিরাম পাওয়াটাও বেশ সহজ। তবে সবার আগে জানতে হবে কোন সমস্যার জন্য কোন সিরাম ব্যবহার করতে হবে। চলুন সেই ব্যাপারেই কিছুটা আলোকপাত করা যাক-
১) ব্রাইটেনিং সিরাম
এই ধরনের সিরামে মূলত হাইপারপিগমেন্টেশন এবং ত্বকের ডিসকালারেশন রোধ করার উপাদান থাকে। অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট হিসেবে এগুলোতে উপস্থিত থাকে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড বা ভিটামিন সি এবং নিয়াসিনামাইড। অ্যাসকরবিক অ্যাসিড আমাদের ত্বকের নিচের লেয়ারের মেলানিন প্রোডাকশন কমানোর যে ফ্যাক্টরগুলো সেগুলোকে স্টিমুলেট করে। সাথে তার সঙ্গী নিয়াসিনামাইড আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ডার্ক স্পটকে হালকা করতে সাহায্য করে।