আলফা আরবুটিন কী?
আরবুটিন তৈরি হয় হাইড্রোকুইনোন ও ডি-গ্লুকোজ থেকে, এটা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যেতে পারে আবার বিভিন্নরকম উদ্ভিদ যেমন- ক্র্যানবেরি, ব্লুবেরি ইত্যাদি থেকেও পাওয়া যায়। এটা ন্যাচারাল স্কিন ব্রাইটেনিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যা মেলানিন নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। দুই ধরনের আরবুটিন পাওয়া যায়- আলফা আরবুটিন (এটা মূলত কেমিক্যালি প্রসেসড) আর বেটা আরবুটিন (এটা বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ থেকে সংগ্রহ করা হয়)। কেমিক্যালি প্রসেসড আলফা আরবুটিন-ই মূলত বিভিন্ন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, কারণ ন্যাচারালি পাওয়া বেটা আরবুটিন থেকে কেমিক্যালি প্রসেসড আলফা আরবুটিন প্রায় ১০ গুণ বেশি কার্যকর।
আলফা আরবুটিন
কীভাবে কাজ করে?
আরবুটিন ন্যাচারাল ব্রাইটেনিং এজেন্ট হিসেবে অনেক বেশি কার্যকর। এটা স্কিনকে ব্রাইট করতে এবং ডার্ক স্পটস ফেইড করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ডার্ক স্পটস তৈরি হয় মেলানোসাইট নামক স্কিন সেলস থেকে। এই সেলগুলোতে থাকে টাইরোসাইনাস নামক এক ধরনের এনজাইম। সূর্য রশ্মির কারণে আমাদের ত্বকের এপিডার্মিস লেয়ারে মেলানোসাইট সেলস ট্রিগার হয়ে যায়। যার ফলে স্কিনে এক্সেস মেলানিন তৈরি হয়ে সানট্যান ও স্পটস তৈরি করে। অন্যদিকে আলফা আরবুটিন ত্বকের উপরে হাইড্রোকুইনোন রিলিজ করে যেটা কিনা টাইরোসাইনাসকে প্রতিরোধ করে। অর্থাৎ মেলানিন নিঃসরণ প্রতিহত করে। আরবুটিন মেলানিনের ওভার প্রোডাকশন বন্ধ করে, সেই সাথে টাইরোসাইনাস তৈরি হওয়াকেও বন্ধ করে দেয়। যার কারণে কোনো রকম ক্ষতিকর প্রভাব ছাড়াই পিগমেন্টেশন ও কালো দাগ থেকে আপনি একশো হাত দূরে থাকতে পারছেন।
স্কিন কেয়ার বেনিফিটস
১) ডার্ক স্পট ও সানট্যান কমাতে
আলফা আরবুটিন স্কিনটোন ব্রাইট করে ও স্কিন টেক্সচার ইম্প্রুভ করে। সারাদিন রোদে থাকার ফলে স্কিনে যে ডিসকালারেশন হয়, সেটা কমিয়ে স্কিনকে গ্লোয়ি করে এই উপাদানটি। রেগুলার ব্যবহারের ফলে সানট্যান, এজিং স্পটস, মেলাজমা অর্থাৎ কালো দাগ অনেকাংশে কমে যায়।
২) ব্রণের দাগ দূর করতে
অনেক সময় ব্রণ চলে গেলেও স্কিনে থেকে যায় জেদি দাগ। একনে স্পটস দূরে করে স্কিনকে হেলদি রাখতে ট্রাই করতে পারেন আলফা আরবুটিন যুক্ত স্কিন কেয়ার রেঞ্জ।
ব্রাইটেনিং সিরাম
৩) স্কিনটোন ব্রাইট করতে
এটি স্কিনের টাইরোসাইনাস প্রোডাকশন কমিয়ে আনে বলে স্কিনের আনইভেন কমপ্লেকশন অনেকটাই দূর হয়। সেই সাথে ডার্ক স্পটস কমিয়ে আনে বলে ফেইস অনেক বেশি ক্লিয়ার ও হেলদি মনে হয়।