হেলদি স্কিন ব্যারিয়ার কী?
আমাদের স্কিনে এপিডার্মিস হচ্ছে সবথেকে টপ লেয়ার, যা স্কিনের ভিতরের লেয়ারগুলোকে প্রোটেক্ট করে। এই লেয়ারে আছে লিপিড ম্যাট্রিক্স যা কোলেস্টেরল, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং সিরামাইড দিয়ে তৈরি। এই ডার্মিস লেয়ার আমাদের স্কিনকে প্লাম্পি ও গ্লোয়িং রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি এটি স্কিনকে এনভায়রনমেন্টাল পল্যুশন থেকে রক্ষা করে এবং স্কিনের ওয়াটার লস প্রিভেন্ট করে স্কিনকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখে। এই লেয়ার ড্যামেজ হলে স্কিন, ডিহাইড্রেটেড ও ডাল হয়ে যায় এবং বাহিরের ধুলাবালি খুব সহজেই স্কিনে প্রবেশ করতে পারে। এতে করে স্কিনের ওভারঅল গ্লো নষ্ট হয়ে যায় এবং স্কিনকেয়ারও ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।
ড্যামেজড স্কিন ব্যারিয়ারের কিছু লক্ষণ
- অতিরিক্ত ড্রাই ও ফ্লেকি স্কিন
- ইরিটেটেড ও ডাল স্কিন
- ইনফ্ল্যামেশন হয়ে স্কিন লালচে হয়ে যাওয়া
- স্কিনে ব্রেকআউট ও জ্বালাপোড়া হওয়া
কোন ভুলের কারণে এমন হচ্ছে?
অতিরিক্ত অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টের ব্যবহার
ও গ্লোয়িং স্কিন পেতে মাঝে মাঝে আমরা অনেক এক্সটেনসিভ স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করে থাকি, যেখানে অনেক সময় একাধিক অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকে। এতে কিন্তু অনেক সময় স্কিনে ইনফ্ল্যামেশন দেখা দেয়। আমাদের উচিত সবসময় স্কিনের কনসার্ন বুঝে দুই একটার বেশি অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট স্কিনকেয়ার রুটিনে না রাখা। ঘন ঘন স্কিনকেয়ার রুটিন পাল্টানো এবং স্ট্রং স্কিন ট্রিটমেন্টও হতে পারে দুর্বল স্কিন ব্যারিয়ারের কারণ।
হার্শ ক্লেনজারের ব্যবহার
আমাদের স্কিন ন্যাচারালি স্লাইটলি অ্যাসিডিক থাকে, ফলে সঠিক ব্যবহার না করায় স্কিনের পিএইচ লেভেল কমবেশি হয়ে স্কিন ব্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও হার্শ ক্লেনজার ত্বকের ন্যাচারাল অয়েল স্ট্রিপ করে ফেলে, যাতে করে স্কিন ব্যারিয়ার ফাংশন নষ্ট হয়ে যায়। এতে ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ ও শুষ্ক। তাই আমাদের উচিত আমাদের স্কিন টাইপ অনুযায়ী মাইল্ড ও জেন্টল ক্লেনজার ব্যবহার করা। অনেকক্ষণ ফেইস ওয়াশ দিয়ে ফেইস ক্লিন করা এবং মাইসেলার ওয়াটার কিংবা ক্লেনজিং ওয়াটার ওয়াশ অফ না করাও কিন্তু আমাদের স্কিন ব্যারিয়ার নষ্ট করে দিচ্ছে।
অতিরিক্ত ঠান্ডা কিংবা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়া
অতিরিক্ত টেম্পারেচারের পানি স্কিনের ন্যাচারাল অয়েল স্ট্রিপ করে ফেলে। তাই হেলদি স্কিন ব্যারিয়ার মেনটেইন করতে আমাদের উচিত হালকা কুসুম গরম পানিতে মুখ ধোয়া।