খেলা

মেলবোর্নে ছেলের লড়াই দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বাবা মুত্যালা রেড্ডি

এই দিনটার জন্যই তো অপেক্ষা। এই দিনটা দেখার জন্যই তো এত কষ্ট-দুঃখ সহ্য করা। এত ঝুঁকি, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া। মেলবোর্নে ছেলের লড়াই দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বাবা মুত্যালা রেড্ডি। জীবনের ‘সুখ’ বিসর্জন দিয়েছেন ছেলের এই দিন দেখার জন্যই তো। এত আত্মত্যাগ! বোল্যান্ডের বলে নীতীশের শটটা বাউন্ডারির দিকে যেতেই দু’হাত তুলে শিশুদের মতো লাফিয়ে ওঠেন সিনিয়র রেড্ডি। মাহেন্দ্রক্ষণ। কাঁদলেন অঝোরে। উচ্ছ্বাসের কান্না। যেন সর্বসুখ তাঁর শরীরে। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি বাবাকেই উৎসর্গ করেছেন ছেলে নীতীশ। বাবার ছবি পোস্ট করে নীতীশ লিখেছেন, এটা তোমার জন্য বাবা। মুত্যালা রেড্ডি গিলক্রিস্টকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন, এই দিনটার কথা কোনওদিন ভুলতে পারব না। মুত্যালা রেড্ডি হিন্দুস্তান জিঙ্কস সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু, আচমকা উদয়পুরে তাঁর ট্রান্সফার হয়ে যায়। ট্রান্সফার নিলে ছেলের ক্রিকেট অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তাই সরকারি চাকরিতেই ইস্তফা দিয়ে দেন। তখন নীতীশ হয়তো বড়জোর ১২। শুরু হয় আর্থিক টানাটানি। তবু ক্রিকেট ছাড়তে দেননি বাবা। তাঁর স্বপ্ন সত্যি করার লড়াইটা শুরু করেন নীতীশই। মাত্র ১৭ বছর বয়স থেকে অন্ধ্রের হয়ে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি। চলতি বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে টিম ইন্ডিয়ায় অভিষেক হয় নীতীশের। আর মেলবোর্নেই ভারতীয় দলের ভাঙা হাটের মেলায় তিনিই উজ্জ্বল তারকা, পেলেন প্রথম সেঞ্চুরি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.