সানস্ক্রিন কেন ব্যবহার করবেন?
পল্যুশনের কারণে পৃথিবীর ওজন স্তর ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে আর সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে চলে আসছে। UVA ও UVB রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করা মাস্ট! এর কোনো অল্টারনেট অপশন নেই।
১) এজিং সাইনস প্রিভেন্ট করতে
ইয়াংগার লুকিং স্কিন কার না পছন্দ? রিংকেলস বা ফাইন লাইনস অল্প বয়সেই ফেইসে ভিজিবল হোক, সেটা আমরা কেউ চাই না, রাইট? সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৫ বছর বয়সী মানুষদের মধ্যে যারা নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেছেন তাদের রিংকেলস পরার চান্স অন্যদের তুলনায় ২৪% কম। টিনেজ থেকেই যদি প্রোপার সান প্রোটেকশন নেওয়া হয়, তাহলে চল্লিশের কোঠায়ও আপনার ত্বক থাকবে হেলদি ও ইয়াং!
টিনেজ থেকেই রেগুলার সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই
২) স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে
সাধারণত ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হয়। তবে সানস্ক্রিন ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখে শুধু তাই নয়, এটি স্কিন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায়। বেশিরভাগ স্কিন ক্যান্সারের জন্য আল্ট্রা ভায়োলেট রেডিয়েশন দায়ী। তাই টিনেজ থেকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
৩) সানবার্ন ও স্পটস প্রিভেন্ট করতে
সূর্যের UVB রশ্মির কারণে আমাদের স্কিনের এপিডার্মিস লেয়ারে মেলানোসাইট সেলস ট্রিগার হয়ে যায়। যার কারণে তখন এক্সেস মেলানিন তৈরি হয়। ফলে ত্বকের উপরিভাগে ব্রাউন পিগমেন্ট দেখা দেয়, একে বলা হয় সানট্যান। স্পটস, সানবার্ন প্রিভেন্ট করতে চাইলে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই ও ২ ঘন্টা পর পর রিঅ্যাপ্লাই করা কিন্তু মাস্ট।
৪) স্কিন ওভারঅল হেলদি রাখতে
ত্বক সুস্থ রাখার জন্য কোলাজেন ও ইলাস্টিন প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রোটিনগুলোর কার্যকারিতা ও গঠনে বাধা দেয় ইউভি রশ্মি। তাই ডে টাইমে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করা জরুরি, যা স্কিনকে সুরক্ষিত রেখে হেলদি ও ইয়াং লুকিং স্কিন এনশিওর করে।
টিনেজ থেকেই রেগুলার সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করা মাস্ট
এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে একদম শুরু থেকেই আপনার স্কিনকেয়ার রুটিনে সানস্ক্রিন ইনক্লুড করা কতটা জরুরি। টিনেজে স্কিনে হেলদি গ্লো থাকে, তেমন কোনো সিরিয়াস স্কিন কনসার্ন থাকে না। তাই সানস্ক্রিন কিন্তু অনেকেই স্কিপ করেন। এর প্রয়োজনীয়তা সেই সময়ে বোঝা যায় না। কিন্তু দিনের পর দিন সান প্রোটেকশন ছাড়া আপনি যখন বাইরে বের হচ্ছেন, আপনার অজান্তেই স্কিনের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস, আনইভেন স্কিনটোন, ডার্ক প্যাচেস- আরও কত কত প্রবলেম! তাই সময় থাকতেই সচেতন হোন।