এশিয়ান স্কিনের ৬টি কমন কনসার্ন
একই মহাদেশের হলেও জাপান, কোরিয়ার সাথে ইন্ডিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মানুষের স্কিনটোন, ফেইস ফিচারে কিন্তু ভিন্নতা আছে। তারপরও কমন কিছু বিষয় আছে যা মোটামুটি সব ক্ষেত্রে মিলে যায়। সাউথ এশিয়ার দেশগুলোতে আবহাওয়া, জীবনযাত্রার ধরন মোটামুটি একই। জাপানিজ, কোরিয়ানদের স্কিন টেক্সচার আমাদের থেকে আলাদা। লাইফস্টাইল, হ্যাবিট, পল্যুশন লেভেল, জেনেটিক্যাল ইস্যু সব কিছু মিলিয়ে এই বৈচিত্র্য দেখা যায়। চলুন আজ কিছু ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট জেনে নেই।
১) এশিয়ানদের স্কিনে এজিং প্রসেস স্লো
ককেশিয়ানদের তুলনায় এশিয়ানদের ত্বকে সাধারণত বয়সের ছাপ একটু দেরিতে ভিজিবল হয়। কারণ এশিয়ানদের ডার্মিস লেয়ার তুলনামূলক থিক। ডার্মিস হলো আমাদের স্কিনের লেয়ার যেখানে কোলাজেন ও ইলাস্টিন প্রোটিন থাকে। কোলাজেন ও ইলাস্টিনের পরিমাণ বেশি থাকলে রিংকেলস ও ফাইন লাইনস কম ভিজিবল হয়। তাই বলা যেতে পারে এদিক দিয়ে এশিয়ানরা কিন্তু বেশ লাকি।
২) স্কারস সহজে বসে যায়
সুবিধা যেমন আছে, তেমনি আছে কিছু অসুবিধা! এশিয়ান স্কিনে স্পটস, স্কারস খুব ইজিলি বসে যায়। স্পেশালি ! কারণ আমাদের স্কিনের এপিডার্মিস লেয়ারের একদম বাইরের আবরণে পাতলা স্ট্র্যাটাম কর্নিয়াম থাকে (যেখানে ডেড স্কিন সেলস জমা হয়)। তুলনামূলক পাতলা স্তর হওয়ার কারণে স্কারস সহজে বসে যায়, হিলিং প্রসেসে একটু সময় বেশি লাগে।
৩) এশিয়ানদের স্কিন একটু বেশিই সেনসিটিভ
একটু আগে যে থিন লেয়ারের স্ট্র্যাটাম কর্নিয়াম এর কথা বললাম, এটি স্কিন সেনসিটিভিটির একটি কারণ। হিট, কোনো স্পেসিফিক কেমিক্যাল খুব সহজেই স্কিনকে ইরিটেড করতে পারে। ড্রাই বা অয়েলি- স্কিন টাইপ যেমনই হোক, সেনসিটিভিটির সমস্যা হতে পারে যে কারোরই। জেনেটিক, এনভাইরনমেন্ট, লাইফস্টাইল এখানে বেশ বড় ভূমিকা পালন করে। এশিয়ানদের মধ্যে এই স্কিন কনসার্ন একটু বেশি দেখা যায়।
৪) অন্যদের তুলনায় সেবাম প্রোডাকশন বেশি হয়
এশিয়ানদের মধ্যে অয়েলি স্কিন টাইপই বেশি লক্ষ্য করা যায়। সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে প্রোডিউস হওয়া সেবাম স্কিন সারফেসকে স্মুথ রাখে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবাম প্রোডিউস হওয়া মানেই পিম্পলস, এনলার্জড পোরসের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া। এশিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলে হিউমিডিটি, ওয়েদার, ফুড হ্যাবিট মোটামুটি একই ধরনের। আর এই এরিয়াতেই বেশিরভাগ মানুষের স্কিন টাইপ ।
৫) হাইপারপিগমেন্টশন ও মেলাজমা বেশি দেখা দেয়
পশ্চিমাদের (যাদের স্কিনটোন লাইট) থেকে এশিয়ানদের মেছতা, পিগমেন্টেশন এই ধরনের স্কিন প্রবলেম একটু বেশি দেখা যায়। কিন্তু কেন? মেলানিন শব্দটি তো বেশ পরিচিত, তাই না? মেলালিন ত্বকের রং নির্ধারণ করে, আমরা অনেকেই জানি। এশিয়ানদের স্কিনে মেলানিনের (Eumelanin – ব্রাউন ব্ল্যাক পিগমেন্ট) পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে। সূর্যের UV রশ্মির সংস্পর্শে আসলে এবং অন্যান্য কারণে যখন মেলানিন প্রোডাকশন বেড়ে যায়, তখন ত্বকে ধীরে ধীরে হাইপারপিগমেন্টশন ও মেলাজমা দেখা দেয়।