অফবিট

ব্ল্যাকহেডস প্রবলেম কেন হয়?

হিউম্যান স্কিনে রয়েছে পোরস বা ছোটো ছোটো লোমকূপ যা ত্বকের উপরিভাগে সেবাম, ঘাম নিঃসরণ করে থাকে। এই পোরস থেকে নিঃসৃত অয়েল বা সেবাম কখনো কখনো বাইরের ধুলোময়লা, ডেড সেলস এর সাথে মিক্স হয়ে আঠালো পদার্থে পরিণত হয়। এই আঠালো বস্তু যখন বাতাসের সংস্পর্শে আসে তখন অক্সিডাইজড হয়ে যায় এবং কালো দেখায়, যাকে আমরা ব্ল্যাকহেডস হিসেবে জানি। একে ওপেন কমেডোনসও বলা হয়ে থাকে। তৈলাক্ত ত্বকে সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড বেশি অ্যাকটিভ থাকে, তাই ব্ল্যাকহেডস হওয়ার প্রবণতাও বেশি।

এই স্কিন কনসার্ন কি পার্মানেন্টলি দূর করা যায়?

আপনি যদি স্কিনের অতিরিক্ত সেবাম প্রোডাকশন কন্ট্রোলে রাখতে পারেন, তাহলে ব্ল্যাকহেডস প্রিভেন্ট করা সম্ভব! বেসিক স্কিনকেয়ার মেনটেইন করলে এই ধরনের স্কিন কনসার্ন থেকে দূরে থাকা যায়। আগে জানতে হবে কোন কোন অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট এই প্রবলেমের সল্যুশনে ইফেক্টিভলি কাজ করে। ব্ল্যাকহেডস প্রবলেম দূর করতে কী কী করা যায়, চলুন জেনে নেই এবার।

ব্ল্যাকহেডস প্রবলেম

১. স্যালিসাইলিক অ্যাসিড যুক্ত ক্লেনজার ইনক্লুড করা

স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্ল্যাকহেডস দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। স্যালিসাইলিক অ্যাসিডযুক্ত ফেইসওয়াশ মার্কেটে অ্যাভেইলেবল এবং একনের সল্যুশনে অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেকেই কিন্তু জানেন না এটি ব্ল্যাকহেডস প্রিভেন্ট করতে হেল্পফুল। টিনেজ থেকেই স্যালিসাইলিক অ্যাসিড যুক্ত ক্লেনজার ইনক্লুড করা যায়। স্পেশালি অয়েলি স্কিনের জন্য এটি বেশ ইফেক্টিভ। এক্সেস সেবাম কন্ট্রোল করতে, একনে ও ব্ল্যাকহেডস-হোয়াইটহেডস প্রিভেন্ট করতে এটি হতে পারে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড! তবে সাধারণ ফেইসওয়াশের মতো ডেইলি দু’বার স্যালিসাইলিক অ্যাসিড যুক্ত ক্লেনজার ব্যবহার না করে উইকলি তিনদিন ব্যবহার করুন, এতে স্কিন এক্সেস ড্রাই হয়ে যাওয়ার চান্স থাকবে না। অল্টারনেট ডে তে মাইল্ড ক্লেনজার চুজ করতে পারেন।

২. কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করা

AHA ও BHA বেশ কার্যকরী এক্সফোলিয়েটর যা খুব সহজেই কোনো হার্শনেস ছাড়াই স্কিনের ডেড সেলস দূর করে। BHA লিপিড সল্যুবল হওয়ার কারণে এটি খুব সহজেই ত্বকের গভীরে যেতে পারে, পোরসকে ডিপলি ক্লিন করতে হেল্প করে। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড নিজেও একটি এক্সফোলিয়েটর যা BHA গ্রুপের অন্তর্গত। অপরদিকে গ্লাইকোকোলিক অ্যাসিড যা AHA গ্রুপের অন্তর্গত এটিও ব্ল্যাকহেডস, ক্লগড পোরস ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যাদের স্কিন টাইপ নরমাল, কম্বিনেশন ও অয়েলি, তারা নিশ্চিন্তে গ্লাইকোকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করতে পারেন। গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ছাড়াও সাইট্রিক অ্যাসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড এগুলো AHA এর কিছু পপুলার ফর্ম। সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করাই এনাফ।

কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর

৩. রেটিনল ইউজ করা

যারা স্কিন কেয়ারের অ্যাডভান্স লেভেলে আছেন এবং বেসিক স্কিনকেয়ার রুটিন প্রোপারলি মেনটেইন করেন, তারা রেটিনল বা রেটিনয়েডযুক্ত প্রোডাক্ট ইউজ করতে পারেন। টিনেজার্স বা ইমম্যাচিউর স্কিন রেটিনল ব্যবহারের জন্য উপযোগী না। রেটিনল অ্যান্টি এজিংয়ের জন্য ইফেক্টিভ, সেটি তো কম বেশি সবাই জানেন। কিন্তু এছাড়াও এই উপাদানটি ব্লকড পোরস আনক্লগ করতে দারুণ কাজ করে, এটি অনেকেই জানেন না! স্কিনকেয়ারের ক্ষেত্রে রেটিনলের ম্যাক্সিমাম পার্সেন্টেজ হলো ১%। শুরুতে যদি আপনি ০.০১% পার্সেন্টেজ দিয়ে রেটিনল ব্যবহার শুরু করতে পারেন, তাহলে সেটি একদম সেইফ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.