অফবিট

অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস না বুঝে একের পর এক ফেইসে লেয়ার আপ করছেন?

অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস কম্বাইন্ড করছেন?

স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট লেয়ার আপ করলে কিছু কিছু অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস কম্বাইন্ড হতে পারেনা যার কারনে স্কিনে অনেক সময় রিয়্যাকশন হতে পারে। স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট যেমন, ফেসওয়াশ/টোনার/সিরামে অনেক সময় বিভিন্ন ধরণের অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস থাকে। এর মধ্যে কিছু কমন  হলো নিয়াসিনামাইড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, রেটিনল, ভিটামিন সি। এই প্রত্যেকটি ইনগ্রেডিয়েন্টস আমাদের স্কিনে কিছু না কিছু বেনিফিটস দেয়। কিন্তু অনেক সময় এই অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস লেয়ার আপ করলে এরা একে অপরের সাথে কম্বাইন না করে স্কিনে ইচিনেস, রেডনেস, ড্রাইনেস এর মতো প্রব্লেম দেখা দিতে পারে।

স্কিন রিয়্যাকশন হতে পারে

যেমন, রেটিনল ও AHA( গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড) এগুলো স্কিনকেয়ারের এক্সফোলিয়েটিং উপাদান। এই অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস গুলো যদি একসাথে লেয়ার আপ করে ব্যবহার করা হয় তাহলে স্কিন ওভার এক্সফোলিয়েট হয়ে যায় যার ফলে স্কিনের আপার লেয়ার ড্যামেজ হয়ে যায় এবং তখনই স্কিনে ইরিটেশন হয়ে থাকে। তাই এই দুটিকে একসাথে লেয়ার আপ না করে হয় রেটিনল বা অন্য যেকোনো এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটাও খেয়াল রাখবেন যেকোনো এক্সফোলিয়েটর সপ্তাহে ২দিন ব্যবহার করা ভালো খুব বেশি প্রয়োজন হলে ৩দিন ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এর বেশি একদমই না।

স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজড হতে পারে

স্কিন ব্যারিয়ার হচ্ছে আমাদের স্কিনের আউটারমোস্ট পার্ট যা কিনা প্রোটেক্টিভ ব্যারিয়ার এর মতো কাজ করে আমাদের বডি এবং বাহ্যিক পরিবেশের মধ্যে। স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজ হওয়ার বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে স্কিনের pH level ঠিক না থাকা। একেক ধরনের স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের ph level একেক রকম থাকে। কিন্তু অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস বেইজড একাধিক প্রোডাক্ট যখন একসাথে লেয়ার আপ করা হয় তখন এই ph level স্কিনে ইমব্যালেন্সড হয়ে ধীরে ধীরে স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজ করে ফেলে। আমাদের স্কিনের আইডিয়াল ph level হচ্ছে 4.5 – 5.5।

স্কিনের pH level ব্যালেন্স করার উপায়

স্কিনের pH level ঠিক রাখার জন্য আমরা কয়েকটি জিনিস মেনটেইন করতে পারি। যেমন, যেকোনো প্রোডাক্ট ইউজ করার আগে এর pH level সম্পর্কে জেনে নেয়া। আবার ফেইসে প্রোডাক্ট এপ্লাই এর ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিটা প্রোডাক্ট এপ্লাই এর পর এটলিস্ট ২/৩ মিনিট ওয়েট করা প্রয়োজন। এতে করে প্রোডাক্ট এর pH একে অপরের সাথে মিক্স হয়ে খুব কম বা খুব বেশি হওয়ার চান্স থাকেনা। কেননা কিছু কিছু অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস গুলোতে pH level এর পরিমাণ অন্যান্য ইনগ্রেডিয়েন্টস এর থেকে বেশি থাকে। যেমন, এটি এমন একটি ইনগ্রেডিয়েন্টস যার pH level 5.5 – 6 হয়ে থাকে। অন্যদিকে নিয়াসিনামাইড এর pH level  6.00-7.00 পর্যন্ত হয়। এখন এই দুটি ইনগ্রেডিয়েন্টস যদি একসাথে লেয়ার আপ করা হয় তাহলে এদের pH level আমাদের স্কিনের আইডিয়াল pH level থেকে বেড়ে গিয়ে স্কিন ব্যারিয়ারের ড্যামেজ ঘটাতে পারে। তাই এই দুটি প্রোডাক্ট একই সাথে ইউজ না করে বিকল্প দিনে এ ব্যবহার করা ভালো হবে।

অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস লেয়ার আপের কারণে স্কিন ব্যারিয়ার ড্যামেজ হতে পারে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.