মিলিয়া আসলে কী?
Milk spots নামে পরিচিত মিলিয়া। দেখতে মতো হলেও এই ক্ষুদ্র সিস্টগুলো আসলে আমাদের ত্বকের আপার লেয়ারের নিচে জমে থাকা কেরাটিন লাম্প। Stratum corneum হচ্ছে আমাদের স্কিনের এপিডার্মিসের আউটার লেয়ার, যেটি মূলত লিপিড ও কেরাটিন দিয়ে তৈরি। কেরাটিন এই স্কিন লেয়ারেই দেখা যায় সাধারণত। শিশুদের ত্বকে প্রায় সময়ই মিলিয়া হতে দেখা যায়, তবে মিলিয়া বড়দের ত্বকেও হয় যা মূলত চিক ও আই এরিয়ার চারপাশেই বেশি দেখা যায়। কয়েকমাস পর্যন্ত এই কেরাটিন সিস্ট স্থায়ী হতে পারে। এগুলো সাধারণত ক্ষতিকর নয়, কোনো ইরিটেশন হয় না।
কীভাবে বুঝবো এটি হোয়াইটহেডস নাকি মিলিয়া?
হোয়াইটহেডস ও মিলিয়া দেখতে কিছুটা একরকম হলেও এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, যেমন-
১. হোয়াইটহেডস ও একনে পপ করলে বা চাপ দিলে ভেতর থেকে ছোট গোটা জাতীয় কিছু বের হয় তা আমরা জানি, কিন্তু মিলিয়া পপ করলে কিছু বের হবে না।
২. একনের ক্ষেত্রে প্রায়ই ইচিনেস ও ইরিটেশন অনুভূত হয়, কিন্তু মিলিয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ইচিনেস, ইরিটেশন ও ব্যথা অনুভব হবে না।
৩. হচ্ছে একচুয়ালি ক্লোজড কমেডোন, এটি ওয়ান টাইপ অফ একনে। মিলিয়া কিছুটা বাম্পি, সিস্ট টাইপের। দু’টি দুই ধরনের স্কিন কনসার্ন।
মিলিয়া কেন হয়?
শিশুদের ক্ষেত্রে কেন মিলিয়া হয় তার নির্দিষ্ট কারণ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি, এটি কিছুদিনের মধ্যে সাধারণত কিওর হয়ে যায়। এডাল্টদের মিলিয়া হওয়ার জন্য কিছু কারণ দায়ী হতে পারে। যেমন-
১. যদি ত্বকে আগে থেকেই কোনো ড্যামেজ থাকে, কোনো টক্সিক এলিমেন্টের সংস্পর্শে এসে থাকে অথবা ত্বকে যদি কোনো কারণে ফোসকা পড়ে থাকে।
২. দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ক্রিমের ব্যবহারও এর কারণ হতে পারে।
৩. দীর্ঘদিনের সান ড্যামেজ ও ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজের কারণ হতে পারে এই মিলিয়া।
৪. যদি ত্বকের স্বাভাবিক প্রসেস স্লো ডাউন হয়ে যায়, তখন মিলিয়া দেখা দেয়।
৫. খুব বেশি অক্লুসিভ জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করাও একটি কারণ।
৬. এছাড়াও ত্বকের নানা ধরন থাকে। কিছুক্ষেত্রে স্কিন মিলিয়াপ্রন হতে থাকে, আবার জেনেটিক্যালিও এটি হতে পারে।