আগে জেনে নেই কোলাজেন কী
কোলাজেন হলো মানবশরীরে তৈরি ন্যাচারাল প্রোটিন। আমাদের শরীরের হাড়, পেশি, চুল, নখ ও ত্বকের গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে এটি। রক্তনালি, চোখের মণি ও দাঁতেও কোলাজেন থাকে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কোলাজেনের কোনো বিকল্প নেই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রাকৃতিকভাবেই এর পরিমাণ কমতে থাকে৷ খেয়াল করে দেখবেন টিনেজে স্কিন ন্যাচারালি প্লাম্পি ও হেলদি দেখায়, কারণ এই সময় কোলাজেন প্রোডাকশন স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে স্কিনের ইলাস্টিসিটি কমে যেতে থাকে।
কেন কোলাজেনের ঘাটতি হয়?
ইয়াংগার লুকিং স্কিনের সিক্রেট
১. রিসার্চে এসেছে, বিশের পর থেকে প্রতিবছর প্রায় ১% করে কোলাজেন আমাদের শরীর থেকে কমতে থাকে। মেনোপজের পর এই কোলাজেন রিডিউস হওয়ার রেট অনেক বেড়ে যায়।
২. সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের কোলাজেন প্রোটিন ভেঙে দেয়। তাই লং টাইম সান এক্সপোজার ও সঠিকভাবে সানস্ক্রিন না ব্যবহার করা কোলাজেন ঘাটতির অন্যতম একটি প্রধান কারণ।
৩. পল্যুশন, ফ্রি রেডিক্যালস এগুলোও আমাদের শরীরে কোলাজেন ঘাটতির জন্য দায়ী।
৪. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বা আনহেলদি লাইফস্টাইল, মেন্টাল স্ট্রেস, ঘুমের ঘাটতি এসব কারণেও কিন্তু কোলাজেন প্রোডাকশন কমে যায় এবং স্কিনে চলে আসে প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস।
৫. স্মোকিং, অ্যালকোহল, এনার্জি ড্রিংকস অতিরিক্ত পরিমাণে ইনটেক করা, সুগারি ফুড আইটেমস- এ সবই আমাদের শরীরে কোলাজেন এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
যে অভ্যাসগুলো বয়সের সাথে সাথে কোলাজেন ব্রেকডাউন প্রসেস স্লো করবে এবং কোলাজেন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, সেগুলো জেনে নেওয়া যাক তাহলে।
কোলাজেন প্রোডাকশন কীভাবে বাড়ানো যায়?
হেলদি স্কিন
১. ফ্রি রেডিক্যালস নিউট্রিলাইজ করা
স্কিনকেয়ারে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট অ্যাড করতে হবে। এনভায়রনমেন্টাল পল্যুশন, ইউভি রে – এই এক্সটার্নাল সোর্সগুলো থেকে যে ফ্রি রেডিক্যালস প্রোডিউস হয় তা থেকে আমাদের স্কিন সেলসে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ক্রিয়েট হয়। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর কাজ হচ্ছে আনস্ট্যাবল ফ্রি রেডিক্যালস নিউট্রিলাইজ করে এই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে স্কিন সারফেসকে প্রোটেক্ট করা। ভিটামিন সি, নিয়াসিনামাইড, রেটিনল, ভিটামিন ই, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড এই উপাদানগুলো কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করতে হেল্পফুল।
২. সান প্রোটেকশন মাস্ট
সানস্ক্রিনের ব্যবহার পরোক্ষভাবে কোলাজেন ব্রেকডাউন প্রসেস স্লো করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। আগেই জানিয়েছি, ইউভি রে কোলাজেন ব্রেকডাউন করে দেয়, যার কারণে রিংকেলস, ফাইনলাইনস স্কিনে ভিজিবল হয়। প্রোপার প্রোটেকশনের জন্য টু ফিঙ্গার রুল অনুযায়ী সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করুন। সঠিক SPF চুজ করুন। দিনের বেলা ২/৩ ঘন্টা পর পর সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লাই করতে ভুলবেন না। ট্যুরে গেলে লং সান এক্সপোজার থেকে বাঁচতে ছাতা, ক্যাপ, সানগ্লাস, স্কার্ফ ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।