কেন আমাদের স্কিনটোন আনইভেন হয়ে যায়?
সাধারণত যাদের স্কিন একনেপ্রণ, তারা আনইভেন স্কিনটোনের প্রবলেম সবচেয়ে বেশি ফেইস করেন। কেননা একনে চলে গেলেও একনে স্পট কিন্তু ফেইসে থেকেই যায়। তখনই স্কিনে ডিসকালারেশন চোখে পড়ে এবং স্কিনটোন আনইভেন হয়ে যায়। আবার অতিরিক্ত সান এক্সপোজারও আনইভেন স্কিনটোনের জন্য অনেকটাই দায়ী। এই কারণে যাদের দিনের বেলা বাইরে যেতে হয় অথবা কিচেনে থাকতে হয়, তাদের মধ্যে এই স্কিন প্রবলেমটি বেশি দেখা যায়৷ আবার কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন হরমোনাল ফ্যাক্টরও আমাদের স্কিনটোন আনইভেন করে দেয়।
টেক্সচারড স্কিন
আনইভেন স্কিনটোন ইভেন আউট করবেন কীভাবে?
অনেকেই মনে করেন, একবার স্কিনটোন আনইভেন হয়ে গেলে স্কিন আর আগের মতো স্মুথ ও ইভেন হয় না। এটি কিন্তু একটি ভুল ধারণা। সঠিক প্রসেসে স্কিনকেয়ার করলে আনইভেন স্কিনটোন ইভেন আউট করা অবশ্যই পসিবল। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক স্কিনটোন ইভেন আউট করতে যা যা করতে পারেন সেগুলো সম্পর্কে।
প্রতিদিন সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করুন
আমাদের স্কিনের অন্যতম প্রধান শত্রু হলো সান এক্সপোজার। সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির কারণে শুধুমাত্র আনইভেন স্কিনটোনই নয়, স্কিনে প্রিম্যাচ্যুর এজিং সাইনস যেমন, ফাইন লাইনস বা রিংকেলও দেখা যায়। তাই দিনের বেলা অবশ্যই হাই প্রটেকশন দেয় এমন একটি সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এতে করে যেমন স্কিনে সান ড্যামেজ হবে না, সেই সাথে স্কিনটোনও ধীরে ধীরে ইভেন আউট হতে শুরু করবে।
অনেকেই মনে করেন, বাড়িতে থাকলে সানস্ক্রিন ইউজ করা ম্যান্ডেটরি নয়। এটি একটি ভুল ধারণা। আপনি বাইরে যান কিংবা বাড়িতে থাকুন, কোনোভাবেই সানস্ক্রিন স্কিপ করা যাবে না। সবসময় চেষ্টা করবেন এসপিএফ ৫০ রয়েছে এমন সানস্ক্রিন বেছে নিতে। আর হ্যাঁ, তিন থেকে চার ঘণ্টা পরপর অবশ্যই সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লাই করুন।
কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর ইউজ করুন
কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর ইউজ করুন
কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর হচ্ছে স্কিনকেয়ারের আল্টিমেট গেইম চেঞ্জার। এই একটি প্রোডাক্টের যে কত বেনিফিট রয়েছে, তা বলে শেষ করা যাবেনা। স্কিনটোন ইভেন আউট করতে কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর খুবই ইফেকটিভ। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার এটি ইউজ করলে আমাদের স্কিনে জমে থাকা ডেডসেলস দূর হয়, ফলে পোরস ক্লগড হয় না, স্কিন টেক্সচার স্মুথ হয় এবং স্কিনের ডিসকালারেশনও কমে যেতে থাকে। তখন স্কিনে একটা ভিজিবল ব্রাইটনেসও চোখে পড়ে।
এছাড়াও কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর আমাদের স্কিন সেলের টার্নওভার বাড়াতে সাহায্য করে। স্কিন সেল টার্নওভার বলতে পুরাতন স্কিন সেলগুলো নতুন স্কিন সেলের মাধ্যমে রিপ্লেস হওয়াকে বোঝানো হয়। এই নতুন স্কিন সেলগুলোর উপস্থিতির কারণেই হাইপারপিগমেন্টেশন কমে যায় এবং স্কিন টোন ইভেন আউট হতে থাকে। তাই নিজের স্কিন কেয়ার রুটিনে একটি কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর অ্যাড করতে ভুলবেন না।