অফবিট

শুষ্ক ত্বকের জন্য মর্নিং স্কিনকেয়ার রুটিন কেমন হওয়া চাই

ত্বক পরিস্কার করা

ত্বকের যত্ন শুরু হয় ত্বককে পরিষ্কার করার মধ্য দিয়ে। শুষ্ক ত্বক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যেন ওভার ক্লেনজিং না করা হয়, কারণ তাতে ত্বকের ন্যাচারাল ময়েশ্চার চলে যায়। শুষ্ক ত্বকের ক্লেনজার হিসেবে বেছে নিতে হবে যেটি হবে খুব জেন্টেল ও হাইড্রেটিং। শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্লেনজার কেনার সময় এই বিষয় মাথায় রাখবেন। আর শুষ্ক ত্বকের জন্য অবশ্যই একটা নন ফোমি , অয়েল বেজড ক্রিমি টেক্সচারের ক্লেনজার বেছে নিবেন। এই ধরনের ক্লেনজার আপনার ত্বকের আউটার লেয়ারকে ঠিক রেখে ত্বকের ভেতরের ইম্পিউরিটিকে বের করে আনবে। অনেকে শুষ্ক ত্বকে নিয়মিত  ব্যবহার করেন না, এতে করে স্কিন দ্রুত ফ্লেকি এবং প্যাচি দেখায়। শুষ্ক ত্বকে সপ্তাহে অন্তত একবার AHA আছে এমন এক্সফলিয়েটর ব্যবহার করা উচিত।

নিয়মিত ফেইস ক্লিন করুন

হাইড্রেশনের যোগান দেয়া

ত্বকের হাইড্রেশন লেভেল ঠিক রাখতে কয়েকটি ধাপ মেনে চলতে হয়। এগুলো একে একে নিচে আলোচনা করা হল।

টোনার

ত্বক পরিষ্কারের পরে ড্যাম্প থাকা অবস্থাতেই প্রয়োজনীয় হাইড্রেশন যোগান নিশ্চিত করে সেটাকে ত্বকের মধ্যেই লক করে দিতে হবে। এর জন্যে বেস্ট আইডিয়া হল একটা ভালো ফেইস মিস্ট বা  ব্যবহার করা। এটা ব্যবহার করবেন সিরাম বা ময়েশ্চারাইজার লাগানোর আগেই। এটি হবে আপনার ময়েশ্চারাইজেশন এর প্রথম ধাপ যেটা আপনার ত্বকের হাইড্রেশন প্ল্যানকে আরও বেটার করবে। টোনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অ্যাসিড বেজড টোনার ব্যবহার না করে সেরামাইড আছে এমন টোনার ব্যবহার করবেন।

সিরাম

শুষ্ক ত্বকের জন্য সবচেয়ে বেস্ট অপশন হল ভিটামিন সি সিরাম। এটাকে যদি আরেকটু কার্যকরী করতে চান তাহলে ভিটামিন সি সিরামের উপরে হায়ালুরনিক অ্যাসিড দিয়ে লেয়ার তৈরি করে নিন। এতে করে লম্বা সময় ধরে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে, ফাইনলাইন ও রিংকেল দেরিতে আসবে।

ময়েশ্চারাইজার

হাইড্রেশনের ফাইনাল ধাপে আসে ময়েশ্চারাইজার। এটা সিরামকে ত্বকে লক করে দেয়। পরিবেশ বুঝে আপনি SPF যুক্ত একটা  বেছে নিতে পারেন, আবার চাইলে ময়েশ্চারাইজারের পরে আলাদাভাবেও সানস্ক্রিন লাগাতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার খুঁজতে অবশ্যই সেরামাইড, হাইয়ালুরনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন ও নিয়াসিনামাইড আছে এমন ময়েশ্চারাইজার খুঁজে বের করুন।

শুষ্ক ত্বকের যত্নে আইক্রিম ইউজ করুন

আইক্রিম

আপনার ত্বক শুষ্ক মানে হল মুখের তুলনায় চোখের চারপাশের এরিয়া আরও বেশি শুষ্ক। মুখে লাগানোর ময়েশ্চারাইজার এই এরিয়ার জন্যে যথেষ্ট না। আর এই এরিয়াতে ফাইনলাইন ও রিংকেল সবার আগে দেখা যায়। তাই সকাল সকাল আই এরিয়াতে একটা ভালো আইক্রিম লাগিয়ে নিলে এই এরিয়ার ফাইনলাইনস ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.