ক্লেনজিং
যেকোনো স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করে ভালো রেজাল্ট পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো খুব ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করে নেওয়া। আগেকার দিনে মনে করা হতো, শুধু পানি ইউজ করলেই ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু এ সময়ে এসে বিশেষ করে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় যে পরিমাণ দূষণ বেড়ে গেছে তাতে শুধু পানি দিয়ে ফেইস ক্লিন করা একেবারেই এনাফ নয়। আপনাদের অবশ্যই নিয়মিত ক্লেনজার ব্যবহার করতে হবে।
কোন ক্লেনজার ব্যবহার করবেন?
সবসময় মাইল্ড ক্লেনজার বেছে নেয়ার ট্রাই করুন। মাইল্ড ক্লেনজারে pH লেভেল কম থাকে বলে স্কিনের ক্ষতি হয়না। খুব হার্শ কেমিক্যালযুক্ত ক্লেনজার ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য তা হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই যে ক্লেনজার খুবই মাইল্ড তা ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজে দেয়।
কতবার ক্লেনজিং করবেন?
ত্বকের ধরণ ও প্রয়োজন বুঝে ক্লেনজিং করতে হয়। প্রতিদিন সকাল ও রাতের বেলা ক্লেনজিংয়ের আদর্শ সময়। বিশেষ করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক ক্লেনজিং করা মাস্ট। কারণ সারাদিনের ধুলো ময়লা ত্বকে নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়।
তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
ময়েশ্চারাইজিং
স্কিন ব্যারিয়ার শব্দটি হয়তোবা অনেকেরই পরিচিত। আমাদের ত্বকের ওপর এপিডার্মিস নামে খালি চোখে দেখা যায়না এরকম একটি সূক্ষ্ম লেয়ার আছে। মূলত এই লেয়ারটিই আমাদের ত্বককে বাইরের সমস্ত ধুলোবালি থেকে বাঁচায়। বাইরের সমস্ত ডার্ট, ধুলো কিংবা মেকআপ রেসিডিউ এই লেয়ারে এসে জমা হয় এবং ক্লেনজিং এর সময় সেগুলো ধুয়ে যায়। এই লেয়ারের নিচে ডার্মিস নামের আরেকটি লেয়ার রয়েছে যেখানে থাকা সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে ন্যাচারাল অয়েল প্রোডাকশন হয়। যতবার আমরা মুখ ধুই ,ততবার ত্বক এই ন্যাচারাল অয়েল হারাতে থাকে। এই অয়েলকে রিস্টোর করতে এবং ত্বকের ব্যারিয়ারকে সুরক্ষিত রাখতে ক্লেনজিং করার পর একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কোন ময়েশ্চারাইজার কিনবেন?
আপনার ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার সিলেক্ট করতে পারেন। বাজেট ও ত্বকের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত ব্যবহার করা যায় এরকম একটি ময়েশ্চারাইজার বাছাই করুন। যারা এয়ার কন্ডিশনড রুমে থাকেন তাদের জন্য এই স্টেপটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এসির আবহাওয়া আপনার ত্বকের আর্দ্রতা এমনিতেই স্বাভাবিকের চেয়ে কমিয়ে দেয়, তাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সানস্ক্রিন
কাজের জন্য তো আমাদের নিয়মিত বাইরে বের হতেই হয় আর বাইরে গেলেই স্কিন সান এক্সপোজারে আসে। সান প্রটেকশন ছাড়া সূর্যের তাপে বেশিক্ষণ থাকলে আমাদের ত্বকের নিচের মেলানোসাইট নামক কোষ থেকে মেলানিনের প্রোডাকশন বাড়তে থাকে, ফলে ত্বকের রঙ আস্তে আস্তে কালো হতে শুরু করে এবং একইসাথে ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। এছাড়াও সূর্যের আলোতে থাকা ইউভি এ ও ইউভি বি রশ্মি স্কিন ক্যান্সার হওয়ার জন্য দায়ী। তাই বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করতে হবে।