বীরভূম মানেই অনুব্রত আর কাজল শেখ। সেখানে তৃণমূলের এই পরাজয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহজে মেনে নেবেন না তা সহজেই বোঝা যায়। নলহাটির কয়থা সমবায় নির্বাচনে হার শাসকদলের। বাজিমাত বাম-কংগ্রেস জোটের। সমবায়ে ৩৭ টি আসনের মধ্যে ২০ টি আসনে জয়ী জোট। তৃণমূূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী ১৭টি আসনে। পঞ্চায়েত ভোটে নলহাটিতে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলেন তৃণমূলের। লোকসভা নির্বাচনেও কাজল শেখের নেতৃত্বে ব্লকে লিড পেয়েছিল শাসকদল। কিন্তু সমবায় সমিতিতে ধাক্কা। তবে নাগরিক মহল মনে করছে ম্যাজিক ফিগার ১৯ করতে খুব বেশি সময় লাগবে না তৃণমূলের। কারণ গত ১২/১৪ বছর ধরে এটাই বাংলার ইতিহাস।
রেজাল্ট বের হবার পরে আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠে বাম কংগ্রেসের সমর্থকরা। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব বর্মন বলেন, “১২ বছর পর কয়থা সমবায় সমিতিতে নির্বাচন হল। আর সেখানে এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে তৃণমূল। আমরা বাম-কংগ্রেসের জোটের পক্ষে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করি। তৃণমূল গোটা রাজ্যে দুর্নীতি করছে, তেমনি সমবায়েও করছে। এটা সমবায়কে আমরা দুর্নীতি মুক্ত করতে চাই।”কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, পরিষ্কারভাবে ভোট যেখানে হবে, সেখানে বাম কংগ্রেসের জোট জিতবে। কারণ বিজেপি আর তৃণমূলের সেটিংটা মানুষ বুঝে গিয়েছে।