জাকির হুসেন – নামটা যুক্ত হয়ে আছে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত তথা তবলা শিল্প। প্রায় বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো রবিবার সন্ধ্যায় তিনি আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান। ভারতীয় সংগীত জগতে শোকের ছায়া। প্রখ্যাত তবলা বাদক এবং সঙ্গীতশিল্পী জাকির হোসেন ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর, ৭৩ বছর বয়সে প্রয়াত। ভারতের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অগ্রগণ্য এই মহান শিল্পীর প্রয়াণ সঙ্গীতের একটি যুগের সমাপ্তি ঘটাল, যা শুধু ভারতীয় সঙ্গীত জগতেই নয়, বিশ্বের সকল শ্রোতাদের জন্য এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীক শোক জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই জকির তবলা বাজানো শুরু করে। তারপরে প্রায় ৭০ বছর ধরে চলেছে তাঁর তবলা চর্চা। কিন্তু সকলকে ছেড়ে তিনি রবিবার চলে গেলেন। জাকির হোসেন সঙ্গীতের জগতে তাঁর অসাধারণ অবদান রেখে গিয়েছেন, যার জন্য তিনি অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্যে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, পদ্মভূষণ অন্তর্ভুক্ত। তিনি তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান এবং অসংখ্য ছাত্র, অনুরাগী এবং শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন যারা তাঁর সঙ্গীত এবং শিক্ষা গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। তাঁর মৃত্যু ভারতীয় তথা বিশ্বের সঙ্গীতের জন্য এক অপূরণীয় শূন্যতা। তাঁর সঙ্গীত এবং তাঁর প্রভাব অমর হয়ে থাকবে অগণিত ভক্ত এবং শ্রোতার মধ্যে। ১৯৫১ সালে মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণকারী জাকির হোসেন, ছিলেন প্রখ্যাত তবলা বাদক উস্তাদ আল্লা রাখার পুত্র। সঙ্গীতের প্রতি তাঁর প্রাথমিক আগ্রহ এবং কঠোর প্রশিক্ষণ তাঁকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তবলা বাদক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। সঙ্গীতের প্রতি তাঁর অসীম ভালোবাসা, সৃজনশীলতা এবং সূক্ষ্মতা তাঁকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিচিত করে তোলে।