বাঙালির ভুরিভোজ হবে আর শেষপাতে চাটনি থাকবেনা তাই কখনো হয়? তাই বাঙালির হেঁশেলে চাটনি বলতেই জনপ্রিয় টম্যাটো, খেজুর, আমসত্ত্বের চাটনি। গরমের দিনে আম, আনারসের চাটনিও বেশ লাগে। বছরভর পেঁপের ‘প্লাস্টিক’ চাটনি তো রয়েছেই।
তবে শুধু বাঙালিদের মধ্যেই নয় বিভিন্ন রাজ্যে রকমারি পদের সঙ্গে নানা ধরনের চাটনি খাওয়ার চল আছে। রাজস্থান থেকে মহারাষ্ট্র, পরোটা থেকে পাও ভাজি খাওয়ার জন্য ব্যবহার হয় রকমারি চাটনি। আর তা শুধুমাত্র রসুন দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় চটজলদি।
মহারাষ্ট্রের ড্রাই গার্লিক চাটনি
উপকরণ
১৮-২০ কোয়া রসুন
৮-১০টি কাশ্মীরি শুকনো লঙ্কা
একমুঠো বাদাম
২-৩ টেবিল চামচ নারকেল গুঁড়ো
৩ টেবিল চামচ সাদা তিল
স্বাদমতো নুন
পদ্ধতি: রসুন থেকে সাদা তিল, নারকেল গুঁড়ো, বাদাম, লঙ্কা প্রতিটি উপকরণ শুকনো কড়ায় হাল্কা নাড়াচাড়া করে নিন। ঠান্ডা হলে মিক্সিতে এগুলি দিয়ে সামান্য নুন যোগ করুন। মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। মিশ্রণটি একেবারে মিহি হবে না, হালকা দানা থাকবে। রসুনের শুকনো চাটনি পাও ভাজি বা ইডলি-দোসার সঙ্গে খাওয়া যায়। চাইলে পছন্দের অন্য পদের সঙ্গে এটি খেতে পারেন।
রাজস্থানের রসুন চাটনি:
উপকরণ
১৮-২০ কোয়া রসুন
১০-১২টি শুকনো লঙ্কা
১টেবিল চামচ গোটা জিরে
আধ চা-চামচ হিং
১ টেবিল চামচ আমচুর পাউডার
স্বাদমতো নুন
পদ্ধতি:
বীজ বার করে শুকনো লঙ্কা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পর তা রসুন ও সামান্য নুন দিয়ে বেটে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম হলে জিরে, হিং ফোড়ন দিন। মিশ্রণটি ঢেলে আঁচ কমিয়ে নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে দিয়ে দিন আমচুর গুঁড়ো। তার পর নামিয়ে নিন। মিশ্রণটি কাচের শিশিতে ঠিক ভাবে রাখলে মাসখানেক ভাল থাকবে। রকমারি পরোটার সঙ্গে রাজস্থানে রসুনের চাটনি খাওয়ার চল আছে।