গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার প্রভাব পড়ছে ভারতেও। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ এবং ইসকন সন্ন্যাসী গ্রেফতারের ঘটনা দেশটিতে অশান্তি বাড়িয়েছে। এর ফলে ভারতে আসা বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। কোভিডের ধাক্কায় আগেই বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। ২০১৯ সালে ভারতে এসেছিলেন প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশি, যা ২০২০ সালে নেমে যায় পাঁচ লাখের নিচে। ২০২৩ সালে কিছুটা বেড়ে সেই সংখ্যা ২১ লাখে পৌঁছালেও চলতি বছরে পরিস্থিতি আবার খারাপ হয়েছে। ২০২৪ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত ভারতে এসেছেন মাত্র ১২.৮৫ লাখ বাংলাদেশি। বছরের শেষে সংখ্যাটি ১৫ লাখের কাছাকাছি থামবে বলে ধারণা।
এর বড় প্রভাব পড়েছে কলকাতায়। বাংলাদেশি পর্যটকেরা মূলত নিউ মার্কেট, সদর স্ট্রিট, এবং কিড স্ট্রিটে অবস্থান করেন। তাঁদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় হোটেল, রেস্তোরাঁ, মুদ্রা বিনিময় এবং ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। নিউ মার্কেট শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক গুপ্ত জানিয়েছেন, পর্যটকের অভাবে ব্যবসা কার্যত বন্ধের পথে।এছাড়াও, চিকিৎসা পর্যটনের ক্ষেত্রেও ধাক্কা লেগেছে। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর দাবি, বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। মুকুন্দপুর অঞ্চলের ভাড়া ব্যবসা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসায়ও মন্দা চলছে।
পর্যটকদের সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভিসা-সংক্রান্ত সমস্যাকে দায়ী করা হচ্ছে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা।