সদ্য সমাপ্ত হলো রাজ্যের ৬টি বিধানসভার উপনির্বাচন। কিছু বিচ্ছন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটযুদ্ধ মোটামুটি নির্বিঘ্নে ঘটেছে। নৈহাটি, হারোয়া ও মাদারিহাটে কিছু বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল হয়েছে। ভোট প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সময়সীমা শেষ হওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্য ঘিরে কিছু জল্পনা তৈরি হয়েছে ৷ বুধবার হাওড়ার শ্যামপুর এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “আসল নির্বাচনটা ২০২৬ সালে হবে ৷’’ তাহলে কি রাজ্যের এই ৬টি আসনে জয়ের ভাবনা ভাবছেনা শুভেন্দু?
আর জি কর কাণ্ডের পরে রাজ্যে শাসক বিরোধী একটা হাওয়া উঠেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন হলেও তার কোনো প্রভাব কি পড়বে নির্বাচনে? শুভেন্দু ততটা আশাবাদী নয়। তারমধ্যে আরও বড়ো কথা হলো বিরোধীরা ভিভক্ত। আর সেই সুযোগ সম্পূর্ণ নেবে শাসকদল।
পাটিগণিত কিন্তু সব সময় খুব সরল গতিতে চলে না। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে যে ছ’টি আসনে উপনির্বাচন হল বুধবার, সেই আসনগুলির মধ্যে পাঁচটিতে (নৈহাটি, হাড়োয়া, তালডাংরা, মেদিনীপুর ও সিতাই) ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জিতেছিল তৃণমূল ৷ ষষ্ঠ আসন, অর্থাৎ মাদারিহাটে ২০১৬ ও ২০২১ সালে জিতেছিল বিজেপি ৷ সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের নিরিখেও ফলাফলে কোনও বদল হয়নি। এবারও তেমন কোনো বদলের ইঙ্গিত কিন্তু পাচ্ছেন না কূটনৈতিক মহল। আসলে এক অর্থে এই নির্বাচকে ‘২৬-এর এসিড টেস্ট বলা যায়। দেখতে হবে – বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেদের ভোটের শতাংশ বাড়ে কিনা? তৃণমূলের ভোটের শতাংশ কত থাকে। লড়াইটা চতুরমুখী না হয়ে ত্রিমুখী করা যায় কিনা? ইত্যাদি নানা দিক থেকে বিশ্লেষণ করেই হয়তো আমরা ‘২৬-এর উপনির্বাচনের একটা ছবি পেতে পারি।