এক সময় চিংড়ি বনাম ইলিশ বলতে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল বোঝাতো। আবার অনেকে চিংড়ি মানে ঘটি আর ইলিশ মানে বাঙাল বোঝানো হতো। কিন্তু পড়ে বোঝা গেছে এই দুই জলজ জীবই উপাদেয়। এখন আর ওই বিভাজন নেই। চিংড়ি ভালো করে রাঁধলে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার সাধ্য আছে কার! এই সময়ে ইলিশের বদলে কোনো এক দিন পাতে পড়তেই পারে চিংড়ি। তবে মালাইকারি বা পাতুরি হিসাবে নয়, নতুন কিছু খেতে চাইলে বানাতে পারেন সর্ষে চিংড়ির পোলাও।
প্রথম পর্ব – চাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন।
দ্বিতীয় পর্ব – এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ, সরিষাবাটা ও কাঁচা লঙ্কা আর চিংড়ি দিয়ে মাছ ভেজে তুলে রাখুন।
তৃতীয় পর্ব – এ বার পোলাও রান্নার জন্য কড়াইয়ে কিছুটা তেল, কাঁচালঙ্কা, তেজপাতা, দারচিনি, আদাবাটা, এলাচ ও চাল দিয়ে কিছু ক্ষণ ভেজে নিন। তার পর ৩-৪ কাপ গরম জল ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ এমনভাবে নাড়ুন যেন চালের সব দিক সমান তাপ পায়।
চতুর্থ পর্ব – প্রথম ৫ মিনিট মাঝারি এবং ১৫ মিনিট মৃদু আঁচে ঢাকনা দিয়ে দমে রাখুন। ঢাকনা খুলে ভাজা চিংড়ি মাছ মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। চাল সেদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে স্যালাডের সঙ্গে পরিবেশ করুন চিংড়ি পোলাও।