একে কি কখনো সুস্থ রাজনীতি বলা চলে! এর আগে ফুটপাথ হকার মুক্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকটি বড়ো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি জানান না যে তাঁর দলের লোকেরাই বারাসতে যাত্রী প্রতীক্ষালয়কে পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছেন। অভিযোগ, কিছু দিন আগে বারাসত ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসের আলি মল্লিক প্রতীক্ষালয়টি দখল করেন। এই ঘটনায় সরব হন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বই। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এমদাদুল হক বলেন, “গ্রাম কমিটির সম্মতিতে পঞ্চায়েত সমিতির অর্থে তৈরি হয়েছিল যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি। আসের আলি সেই প্রতীক্ষালয় দখল করে দরজা জানালা লাগিয়ে, কাচ দিয়ে ঘিরে এসি বসান। টাঙানো হয় দলীয় পতাকাও। কার্যালয়ে বসেই রাজনৈতিক কর্মসূচিও চলে।”এলাকার মানুষ মুখে কিছু না বললেও তারা বিষয়টি নিয়ে খুবই ক্ষুব্ধ।
এই বিষয় নিয়ে মাঠে নেমেছেন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, একেই বলে -‘মগের মুল্লুক’। এই নিয়ে তারা মিটিং মিছিল করেছে ও বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছে। সিপিএম নেতা আহমেদ আলি খান বলেন, “পুলিশ যেখানে ভয়ে কিছু বলতে পারছে না, সেখানে গ্রামের মানুষ ও বিরোধী দলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের বলার সাহস থাকে?” তবে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ ওঠায় এক রকম বাধ্য হয়েই সরকারের পক্ষ থেকে অভিযান চলিয়া যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি দখল মুক্তও করা হয়।